November 21, 2024, 11:27 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার। টঙ্গীবাড়ীতে বীজ আলু ও সার ব্যাবসায়ী দের সাথে ইউএনওর মত বিনিময় সভা। বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা যশোর যাত্রীবাহী বাসের ভেতর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রুবেল। কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। গলি থেকে রাজপথ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী

চাল উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ।

চাল উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ।

কয়েকবছর যাবৎ ধারাবাহিকভাবে চাল উৎপাদন বাড়ছে বাংলাদেশে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস বলছে, চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) উৎপাদন ৩ কোটি ৬০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে চালের উৎপাদন। দীর্ঘদিন খাদ্যশস্যটি উৎপাদনে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান ছিল চতুর্থ। চীন ও ভারতের পরই তৃতীয় স্থানটি ছিল ইন্দোনেশিয়ার। তবে এবার ইন্দোনেশিয়াকে সরিয়ে সেই অবস্থানে উঠে আসছে বাংলাদেশ।

চলতি অর্থবছরে আমন মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। আবার গত আউশ মৌসুমেও চালের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে চার লাখ টন বাড়তে পারে চালের উৎপাদন। তিন মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্মিলিত ফলাফলই বাংলাদেশ শীর্ষ তিনে চলে আসার মূল কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের এ অর্জন নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিহদের বলেন, দেশের কৃষকরাই এ অর্জনের প্রধান দাবিদার। এর সঙ্গে এ খাতে নিয়োজিত সম্প্রসারণকর্মী, বিজ্ঞানী, গবেষক ও বেসরকারি খাতের অবদান রয়েছে। তাদের সহায়তা করার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপকরণ, আর্থিক ও নীতিসহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকারপ্রধান কৃষি ও কৃষকদের জন্য অন্তঃপ্রাণ। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের চাল উৎপাদনে বৈশ্বিক এ সফলতা এসেছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও চাল উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে দেশে। ঘাতসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করে তা আবাদে লবণাক্ত, খরা ও হাওড় অঞ্চলের কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে এসব এলাকায় এখন একটির পরিবর্তে দুটি ধানের আবাদ হচ্ছে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তিনটি ধান করা যায় কিনা, সেটি নিয়েও ভাবছি আমরা। এবার হাওড়ের ধান কাটায় সফলতার জন্য যান্ত্রিকীকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কৃষকের জন্য আর্থিক প্রণোদনা থেকে শুরু করে বিপণন, সরবরাহ ও উপকরণের সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের খাদ্যশস্যের চাহিদা নিজেদের উৎপাদনের মাধ্যমেই পূরণ করতে হবে।

বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় হওয়ার এ পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কৃষিপণ্যের উৎপাদনের তুলনা করা হয়েছে।

ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারা বিশ্বে ৫০ কোটি ২০ লাখ টন ছাড়াতে পারে চালের উৎপাদন, যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ বেশি। চীন সবচেয়ে বেশি চাল উৎপাদন করবে। দেশটি চলতি অর্থবছরে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টন চাল উৎপাদনের মাধ্যমে শীর্ষে অবস্থান করবে। চীনের পরই আছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। দেশটির চাল উৎপাদন দাঁড়াবে ১১ কোটি ৮০ লাখ টন। এর পরই ৩ কোটি ৬০ লাখ টন উৎপাদন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসবে বাংলাদেশ। আর দীর্ঘদিন ধরেই তিন নম্বর স্থানটি দখলে রাখা ইন্দোনেশিয়া এবার চতুর্থ অবস্থানে নেমে আসবে। দেশটিতে চালের উৎপাদন হবে ৩ কোটি ৪৯ লাখ টন।

দেশের উৎপাদিত চালের ৫৫ শতাংশের বেশি আসে বোরো ধান থেকে। বাকিটা আসে আউশ ও আমন থেকে। দেশের জমিগুলোতে বছরে একই জমিতে তিনবার ধান উৎপাদন করা হয়। বিস্তীর্ণ হাওড় এলাকা ধান আবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। এ অঞ্চলের উপযোগী ধানের জাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। চলতি মৌসুমে হাওড় এলাকায় ধানের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে দেশের চালের উৎপাদনে একটি বড় পরিবর্তন আসতে পারে।

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, চলতি অর্থবছরের আমন মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদন পেয়েছি। আবার চলতি বোরো মৌসুমে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া স্বস্তিদায়ক অবস্থানে রয়েছে। হাওড়ের শতভাগ ধান কাটা প্রায় সম্পন্ন। একটা মাস ভালো আবহাওয়া পাওয়া গেলে বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে। আবার আগামী মৌসুমের জন্য আউশের ব্যাপক প্রণোদনা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ফলে সেখানেও উৎপাদন কয়েক লাখ টন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হব। ফলে চাল নিয়ে ইউএসডিএ যদি এ ধরনের প্রক্ষেপণ দিয়ে থাকে তবে সেটা যথার্থই হয়েছে। যদিও এখনো আমরা প্রতিবেদনটি হাতে পাইনি।

ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার চাল উৎপাদনের শীর্ষ ১২টি দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পরই থাকছে ভিয়েতনাম। দেশটিতে এবার উৎপাদন দাঁড়াবে ২ কোটি ৭৫ লাখ টন। এছাড়া থাইল্যান্ডে ২ কোটি ৪ লাখ টন, মিয়ানমারে ১ কোটি ৩১ লাখ টন, ফিলিপাইনে ১ কোটি ১০ লাখ টন, জাপানে ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টন, পাকিস্তানে ৭৫ লাখ টন, ব্রাজিলে ৬৯ লাখ ও কম্বোডিয়ার প্রায় ৫৮ লাখ টন চাল উৎপাদন হবে। ইন্দোনেশিয়া চলতি বছর খারাপ পরিস্থিতির কারণে উৎপাদন ধরে রাখতে পারেনি। তবে সামনের বছরে দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তখন বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় স্থান ধরে রাখাটা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, কয়েক বছর ধরেই দেশে চালের উৎপাদনে একটি ধারাবাহিকতা আছে। সেটার কারণেই বাংলাদেশের উল্লম্ফনটা এসেছে। তবে সেটি ধরে রাখতে হবে। অর্জনটা ধরে রাখতে হলে কৃষি খাতে গবেষণা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি সম্প্রসারণে গুরুত্ব দিতে হবে। উন্নত মানের বীজ সরবরাহ বাড়াতে হবে, কৃষকের ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে। শুধু জাত উদ্ভাবনেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সেগুলোকে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করতে হবে। ধানের স্টোরেজ ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। বিপণন ব্যবস্থায় মিলারদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কৃষক ও সরকারকে আরো শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। উৎপাদনে কৃষকের খরচ কমিয়ে আনা এবং বিপণন ব্যবস্থায় আরো পদক্ষেপ নিলেই ধরে রাখা যাবে এ অবস্থান।

চাল উৎপাদনে শীর্ষ ১২ টি দেশঃ চীন ১৪৯ মিলিয়িন টন, ভারত ১১৮ মিলিয়িন টন, বাংলাদেশ ৩৬.০ মিলিয়িন টন, ইন্দোনেশিয়া ৩৪.৯ মিলিয়িন টন, ভিয়েতনাম ২৭.৫ মিলিয়িন টন, থাইল্যান্ড ২০.৪ মিলিয়িন টন, মিয়ানমার ১৩.১ মিলিয়িন টন, ফিলিপাইন ১১.০ মিলিয়িন টন, জাপান ৭.৬৫ মিলিয়িন টন, পাকিস্তান ৭.৫০ মিলিয়িন টন, ব্রাজিল ৬.৮৭ মিলিয়িন টন, কম্বোডিয়া ৫.৭০ মিলিয়িন টন।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com