করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে যাদের শরীরে কোনো উপসর্গ নেই, তারা খুব বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরখোভ।কিন্তু সংস্থাটির বক্তব্যের সঙ্গে বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানীই একমত হতে না পারায় এ নিয়ে সৃষ্টি হয় তর্ক-বিতর্ক। ফলে একদিনেই অবস্থান বদল করলো সংস্থাটি।
এবার তারা জানিয়েছে, উপসর্গহীন রোগীদের থেকে করোনা ছড়াতে পারে ৪০ শতাংশ, এছাড়া এ বিষয়ে এখনো অনেক কিছুই এখনো অজানা।
মঙ্গলবার (৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে নতুন এই তথ্য জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরকোভ।
তিনি জানান, উপসর্গহীন সংক্রমণের অনেক ধরনের গাণিতিক মডেল রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ১৬ শতাংশ মানুষ, যাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ নেই, তাদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ছড়াতে পারে। তবে, ড. মারিয়া এও বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে উপসর্গহীনদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর মাত্রা বেড়ে প্রায় ৪০ শতাংশও হতে পারে।
মারিয়া ভন কেরকোভ বলেন, অধিকাংশ সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে লক্ষণযুক্ত মানুষের কাছ থেকে ছড়াচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেও উপসর্গহীন আক্রান্তদের মাধ্যমে ছড়ানোর বিষয়টিও রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কতজন মানুষের লক্ষণ নেই তা অনুধাবন করতে আমাদের কাছে এখনও সঠিক জবাব নেই।
তিনি বলেন, আমরা জানি যে কিছু মানুষ উপসর্গহীন বা কিছু মানুষের লক্ষণ না থাকলেও তারা ভাইরাস ছড়াতে পারেন। ফলে জনসংখ্যার কতজন মানুষের উপসর্গ নেই এবং এদের কতজন দ্বারা অপর মানুষ আক্রান্ত হয়েছে তা পৃথকভাবে আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে।
আগের মন্তব্যের বিষয়ে কেরকোভ বলেন, সোমবার প্রেস কনফারেন্সে আমি অল্প দুই বা তিনটি গবেষণার কথা বলেছিলাম। এগুলো উপসর্গহীন আক্রান্তদের গবেষণা করা হচ্ছে। এটি গবেষণার খুব ছোট অংশ। ফলে আমি প্রেস কনফারেন্সে একটি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলাম। আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোন নীতি বা এমন কিছু বলছিলাম না। কারণ এই বিষয়ে এখনও অনেক অজানা রয়েছে, কারণ এটিকে ঘিরে রয়েছে অনেক অজানা বিষয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯-সংক্রান্ত ব্রিফিংগুলো সাধারণত সোমবার, বুধবার ও শুক্রবারে করে থাকে। কিন্তু গত সোমবারের ব্রিফিং ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সংস্থাটি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply