নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডিএমপি কমিশনারকে ঘুষ পার্সেন্টেজের প্রস্তাব দেয়া যুগ্ম কমিশনার ইমাম হোসেন দুদকের জালে ফেঁসে যাচ্ছেন। এ রকম গুরুতর অসদাচরণের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা দ্রুত জানতে চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৪ জুন দুদকের মহাপরিচালক ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক একেএম সোহেল স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
‘আইজিপির কাছে লিখিত অভিযোগ- ডিএমপি কমিশনারকে ঘুষের প্রস্তাব দিলেন কমিশনার’ শিরোনামে ৫ জুন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। চাঞ্চল্যকর এ সংবাদ নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যম ফলাও করে এ বিষয়ে ফলোআপ সংবাদ প্রকাশ করে।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইলামকে ঘুষের প্রস্তাব দেন যুগ্ম কমিশনার ইমাম হোসেন (লজিস্টিক)। এ রকম একটি স্পর্শকাতর অভিযোগ উত্থাপন করে প্রতিকার চেয়ে তিনি ৩০ মে আইজিপির কাছে গোপনীয় চিঠি পাঠান। সেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা ছিল, ‘যুগ্ম কমিশনার ইমাম হোসেন একজন দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা। ডিএমপির বিভিন্ন কেনাকাটায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
তদপুরি তিনি ডিএমপির কেনাকাটায় স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের কাছে পার্সেন্টেজ গ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ফলে উক্ত কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে কর্মরত রাখা সমীচীন নয়, মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।’ এদিকে দুদক সূত্র জানায়, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ইমাম হোসেনকে সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হবে। তবে তার আগে প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে চৌকস টিমকে দিয়ে ছায়া তদন্ত করানো হচ্ছে। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সাংবাদিককে বলেন, ইতোমধ্যে তারা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন। যেগুলো আমলে নেয়ার মতো।
অবশ্য এসব তথ্য পেতে তাদের তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। পুলিশ সূত্র থেকেই তারা অনেক কিছু জানতে পারছেন। এ পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে অতীতে কারা কিভাবে সুবিধা নিয়েছেন সেরকম অনেক তথ্য জানতে পেরেছে দুদক। তবে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে দেখা হচ্ছে। চাকরিতে যোগ দেয়ার আগে ইমাম হোসেনের পারিবারিক অবস্থা কেমন ছিল এবং চাকরিতে যোগ দেয়ার পর এখন পর্যন্ত তার পরিবার এবং নিকটাত্মীয়দের সম্পদ বৃদ্ধিসহ নামে-বেনামে কী পরিমাণ সম্পদ আছে তা পৃথক টিম অনুসন্ধান করছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, দুদক চিঠি দেয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যেহেতু এখন জবাব দিতে হবে সেজন্য ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে ইনহাউস একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ডিএমপি কমিশনার কিসের ভিত্তিতে ইমাম হোসেনকে একজন দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা বলে আখ্যায়িত করেছেন সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply