December 23, 2024, 5:09 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
অর্থনীতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে বঙ্গোপসাগর আন্তর্জাতিকভাবে বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে। চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান, দু-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে। নাটোরে সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে ডাকাতি। স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদের দোসর অস্ত্র ব্যবসায়ী দেলু নাঃগঞ্জ মহানগর তরুন দলের সদস্য সচিব ৫ আগস্টের পরে হচ্ছে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, চলছে দেদার অর্থ উপার্জন, মামলার বাদীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে! মুচলেকা দিয়ে যশোরের মাদ্রাসায় ‘জঙ্গি নাটকের’ অবসান। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে সাদপন্থিদের নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির ‎‎দাবীতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল। ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে : মোমিন মেহেদী ভালুকায় ছিন্নমূল ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে: মোমিন মেহেদী ইজতেমার ময়দানে হামলার বিচারের দাবিতে ভালুকায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। একটি সেতুর অভাবে, লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি। বিএসএমএমইউর সাথে বারডেম একাডেমি ও টিচার্স এসোসিয়েশনের সভা অনুষ্ঠিত। বিজ্ঞান আশীর্বাদ ও অভিশাপ প্রথম এরোপ্লেন আবিষ্কারের কাহিনী রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের অসাধ্য সাধন। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তীব্র প্রতিবাদ বিএসএমএমইউতে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা সাউন্ডবাংলা-বিজয়ের কবিতা-ছড়া পাঠে ৫ বিজয়ী ভালুকায় নতুন ইউএনও’র যোগদান ভালুকায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত নতুনধারার ৪ দিনব্যাপী বিজয়শ্রদ্ধা কর্মসূচি সমাপ্ত আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সাংবাদিক নুরুদ্দীন আহমেদ ভালুকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী আটক টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৭১ এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন। স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়ার মাজারে নাগরিক দলের শ্রদ্ধা সাদপন্থী শীর্ষ নেতাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা টঙ্গিবাড়ীতে শীতকালীন ক্রিকেট টুনামেন্টের উদ্ধোধন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী কবি সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী শুভেচ্ছা জানিয়েছে এনডিপি।

বেসরকারি হাসপাতালে সেবার নামে চলছে ভয়াবহ বাণিজ্য।

বেসরকারি হাসপাতালে সেবার নামে চলছে ভয়াবহ বাণিজ্য।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই সুযোগে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে সেবার নামে চলছে ভয়াবহ বাণিজ্য। এই মহামারীতে রোগীর কাছে থেকে ঘণ্টাপ্রতি অক্সিজেন বিল নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। সুস্থ মানুষকে করোনার ভয় দেখিয়ে নেওয়া হচ্ছে আইসিউতে। সেবা নিতে গিয়ে লাখ লাখ টাকার বিল পরিশোধ করতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মহামারীর সময় সরকার যখন চিকিৎসা দিতে না পেরে বেসরকারি হাসপাতালকে বলে তখন এ পরিস্থিতি হওয়ারই কথা। কে কীভাবে চিকিৎসা দেবে, মূল্য নির্ধারণ কীভাবে হবে কোনো গাইডলাইন ছাড়া চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হলো। পাশের দেশ ভারতে এভাবে বেসরকারি হাসপাতালে মহামারীর চিকিৎসা চলছে না। উন্নত বিশ্বের পরিস্থিতি তুলনার তো প্রশ্নই আসে না। মানুষকে জমি, বাড়ি বিক্রি করে এনে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার বিল দিতে হচ্ছে।
রাজধানীর বনশ্রীর ইয়ামাগাতা-ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে করোনা রোগীর কাছ থেকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বাড়তি বিল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। করোনা সাসপেক্টেড রোগী হিসেবে গত ৫ জুন ওই হাসপাতালে ভর্তি হন সতীশ চন্দ্র দাস, রূপালি দাস ও তাদের ছেলে ডা. তন্ময় দাস। এরপর ৯ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সতীশ চন্দ্র দাস। ১৩ জুন তন্ময় দাসের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে, অন্যজনের নেগেটিভ। গত বুধবার তাদের রিলিজ দেওয়ার সময় তাদের হাতে সাত লাখ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাড়তি ও অসঙ্গতিপূর্ণ বিল নেওয়ার অভিযোগ করে তন্ময় দাস বলেন, তিনজনের প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ টাকা করে অক্সিজেনের বিল ধরা হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ২০০ টাকা। আমাকে খুব অল্প সময় কম পরিমাণে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিল করা হয়েছে ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা। বাবার আইসিইউতে কার্ডিয়াক মনিটর ফি প্রতি ঘণ্টায় ২০০ টাকা করে ২০ হাজার টাকা এবং আমার ও মায়ের প্রতি ঘণ্টায় ১২৫ টাকা করে ২৮ হাজার টাকা ও ৩৩ হাজার ৭৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। আমি এবং আমার মা একই কেবিনে ভাগাভাগি করে ছিলাম। অথচ দুইবার কেবিন ভাড়া, সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়েছে। আমার বাবার কনসালটেনশন ফি ২১ হাজার ৯০০ টাকা, আমার ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা এবং মায়ের ৪১ হাজার ৭০০ টাকা। তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত বিল নেওয়ার বিষয়ে আমরা আরও বুঝতে পারি খাবারের বিল থেকে। আমাদের যে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার দিয়ে গেছে সেই ম্যানেজার আমাদের কাছে বিল পাঠিয়েছেন দুই হাজার ১৫০ টাকা। এটা হয়তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খেয়াল করেনি। তারা আবার মোট বিলের সঙ্গে খাবারের বিল দিয়েছে ১১ হাজার টাকা। আমাদের হাতে রিলিজ দেওয়ার সময় সাত লাখ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার ওষুধ আমাদের আলাদা কিনতে হয়েছে। চিকিৎসার নামে রোগীদের গলাকাটা ছাড়া এগুলো আর কিছুই নয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান হাওলাদার গত ৩১ মে থেকে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। ২ জুন কয়েকটি টেস্ট শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চিকিৎসক জানান তার শরীরে সোডিয়াম কমে গেছে। এরপর তার পরামর্শে ইয়ামাগাতা-ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে যান। তিনি বলেন, ওই হাসপাতালে যাওয়ার পরে আমাকে আইসিইউতে ভর্তি করে নেওয়া হয়। এরপর ক্যানোলা লাগিয়ে শুইয়ে রাখা হয়। কিন্তু আমার কোনো ধরনের টেস্টই করা হয়নি। আইসিউতে নোংরা পরিবেশ এবং বিছানা ছাড়া কোনো ধরনের যন্ত্রপাতিও নেই। তারা আমাকে বিছানায় শুইয়ে হাতে ক্যানোলা লাগিয়ে দেয়। আমাকে আইসিইউতে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই বিছানার সঙ্গে হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। এরপর টানা সাত দিন আমাকে শুধু ঘুমের ওষুধ আর ইনজেকশন দিয়ে রাখা হয়। আমি সারা দিন অচেতন অবস্থায় ঘুমাতাম। আমার স্ত্রীকে বলা হয় আমার করোনা হয়েছে। অথচ আমার কোনো টেস্টই করা হয়নি। এক সময় আমি জানতে পারি এভাবে দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে। তখন আমি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করি। তারা আমাকে জোর করে আটকে রাখে। বিল পরিশোধ করলে আমাকে আসতে দেয়। আমি হেঁটে হাসপাতালে গেলাম অথচ আমাকে জোর করে আইসিইউতে ঢুকিয়ে এভাবে টাকা আদায় করা হলো। এভাবে রোগীদের ফাঁদে ফেলে ব্যবসা করছে হাসপাতালটি। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে কথা বলতে ইয়ামাগাতা-ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের হটলাইনে ফোন করে যোগাযোগ করলে হাসপাতালের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধানকে দেওয়া হবে বলে কিছুক্ষণ লাইনে রেখে কেটে দেওয়া হয়। এরপর ফোন দিলেও আর কেউ রিসিভ করেনি। রাজধানীর মালিবাগের প্রশান্তি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা মহিন উদ্দীন পারভেজ। গত বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যাওয়ার পর তার লাশ নিতে গেলে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের কাছে। পরিবারের অভিযোগ, রোগীকে আইসিইউতেও রাখা হয়নি তাহলে এত বিল কীভাবে আসে? এই অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ বুঝিয়ে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে ওই ভুক্তভোগী পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, এই দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এখন ব্যবসা নয় মানুষের জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে আমাদের নামতে হবে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় মানবিক হওয়ার আহ্বান থাকবে সবার প্রতি।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com