মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে সূর্যের মতো প্রতি পাঁচটি নক্ষত্রের জন্য গড়ে পৃথিবীর মতো একটি করে গ্রহ আছে। নাসার কেপলার মিশনের তথ্য ব্যবহার করে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউবিসি) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন ধারণা পোষণ করেছেন। তারা বলেছেন, সেই হিসাবে প্রায় ৬০০ কোটি গ্রহ থাকতে পারে আমাদের এই প্রিয় ধরণীর মতো।
গবেষকরা বলছেন, কোটি কোটি গ্রহ থাকলেই সেগুলো আমাদের পৃথিবীর ‘স্বজন’ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। পৃথিবীর মতো বিবেচনা করার জন্য একটি গ্রহ অবশ্যই পাথুরে, প্রায় পৃথিবীর মতো আকার এবং সূর্য-জাতীয় (জি-টাইপ) নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে হবে। এটিকে এমন কক্ষপথে ঘুরতে হবে যে পথে ঘুরলে প্রাণ ধারণ করার মতো পরিবেশ থাকবে।
পাথুরে ভূমি থাকবে এবং তার তলদেশে তরল পানি ছিল অথবা আছে এবং সেটি জীবন ধারণের জন্য মোটামুটি উপযোগী। ইউবিসি জ্যোতির্বিদ জেমি ম্যাথিউসের মতে, ‘আমাদের মিল্কিওয়েতে প্রায় ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র রয়েছে, যার মধ্যে সাত শতাংশ জি-টাইপ। অর্থাৎ প্রায় ৬০০ কোটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তমান গ্রহ থাকতে পারে যেগুলো আমাদের পৃথিবীর মতোই।
গবেষকরা বলেছেন, সাধারণ গ্রহের অনুসন্ধান পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। কিন্তু পৃথিবীর মতো গ্রহ খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। কারণ সেগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট হয় এবং এর কক্ষপথ তার নক্ষত্রের বেশ দূরে অবস্থিত হয়। তাই এগুলো খুঁজে পেতে বেশ জটিল এলগরিদমের সহায়তা নিতে হয়েছে গবেষকদের। তবে জটিলতা ছাপিয়ে মহাবিশ্বের নতুন নতুন তথ্য জানতে পারাটাই বেশি আনন্দের বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞানীরা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply