December 24, 2024, 2:16 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার থেকে লোপাট হলো ১৪,৯৪০ কোটি টাকা। কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। চলমান সময়ের প্রয়োজন নতুন রাজনীতি ও নতুন নেতৃত্ব ….এম এ আলীম সরকার লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর কবিতা অর্থনীতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে বঙ্গোপসাগর আন্তর্জাতিকভাবে বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে। চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান, দু-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে। নাটোরে সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে ডাকাতি। স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদের দোসর অস্ত্র ব্যবসায়ী দেলু নাঃগঞ্জ মহানগর তরুন দলের সদস্য সচিব ৫ আগস্টের পরে হচ্ছে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, চলছে দেদার অর্থ উপার্জন, মামলার বাদীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে! মুচলেকা দিয়ে যশোরের মাদ্রাসায় ‘জঙ্গি নাটকের’ অবসান। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে সাদপন্থিদের নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির ‎‎দাবীতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল। ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে : মোমিন মেহেদী ভালুকায় ছিন্নমূল ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে: মোমিন মেহেদী ইজতেমার ময়দানে হামলার বিচারের দাবিতে ভালুকায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। একটি সেতুর অভাবে, লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি। বিএসএমএমইউর সাথে বারডেম একাডেমি ও টিচার্স এসোসিয়েশনের সভা অনুষ্ঠিত। বিজ্ঞান আশীর্বাদ ও অভিশাপ প্রথম এরোপ্লেন আবিষ্কারের কাহিনী রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের অসাধ্য সাধন। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তীব্র প্রতিবাদ বিএসএমএমইউতে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা সাউন্ডবাংলা-বিজয়ের কবিতা-ছড়া পাঠে ৫ বিজয়ী ভালুকায় নতুন ইউএনও’র যোগদান ভালুকায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত নতুনধারার ৪ দিনব্যাপী বিজয়শ্রদ্ধা কর্মসূচি সমাপ্ত আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সাংবাদিক নুরুদ্দীন আহমেদ ভালুকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী আটক টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৭১ এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন। স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়ার মাজারে নাগরিক দলের শ্রদ্ধা

যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমায় টাঙ্গাইলসহ দেশের মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি; জনমনে স্বস্থি

যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমায় টাঙ্গাইলসহ দেশের মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি; জনমনে স্বস্থি

এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
যমুনাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে পানি সম্পূর্ণ সরে যেতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

টাঙ্গাইলে বন্যার পানি কমছে
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে বন্যার পানি কমতে শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীতে ৫ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। বর্তমানে এ নদীতে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ঝিনাই নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ও বংশাই নদীতে ৯ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, বাসাইল, গোপালপুর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ঘাটাইল, সখীপুর, ধনবাড়ী ও মির্জাপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলায় ৬ লাখ ১৩ হাজার ২২৭জন মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বানভাসী মানুষদের মাঝে এক হাজার ৫৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ১২ লাখ টাকার গবাদি পশুর খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে পানিবন্দি মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে উঁচু বিদ্যালয় বা বিভিন্ন সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে পানি কমতে শুরু করায় মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। পানিবন্দি মানুষের সংখ্যার তুলনায় ত্রাণের পরিমাণ কম হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।

জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতিঃ

জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জামালপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান জানান, মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকাল ৪টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য শাখা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

তবে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্যার পানি থাকায় দুর্গত এলাকার মানুষের খাদ্য সংকটসহ নানা দুর্ভোগ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় সড়কে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ। বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের মাঠ, গো চারণ ভূমি, বসতবাড়ী, গ্রামীণ হাটবাজার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। যার ফলে মানুষের অর্থনীতিতে বড় একটি ধাক্কা লেগেছে।

অন্যদিকে দুর্গত এলাকায় মানুষ কোনও মতে উচুঁ জায়গায় আশ্রয় নিলেও অধিকাংশ পরিবার ত্রাণের আওয়াতায় আসেনি। গো খাদ্যের অভাব ও গরু চুরির আতঙ্ক নিয়ে দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করেই দিন পার করছেন বানভাসিরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, জেলায় নগদ ৩১ লাখ টাকা ও ৯১০ মেট্রিক টন চাল, ১৩ হাজার ১৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ৬ লাখ টাকার এবং গো খাদ্য ১৭ লাখ টাকার বিতরণ করা হচ্ছে।

এদিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গতদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। বাড়িঘর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় অনেকেই বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে যাদের বসত ঘরে পানি রয়েছে তার এখনো উঁচু বাধ, সড়ক ও সেতুর ওপর আশ্রয় নিয়ে আছে।

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, দুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবার কাজ করার জন্য ৫৯ টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে জেলার সাতটি উপজেলার ১২ হাজার ৮৬৩ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে নষ্ট গেছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানায়, বর্ন্যাদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে । ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য ব্যাক্তি কেউ বাদ পড়বেন না । জেলা প্রসানের পক্ষ থেকে প্রতিদিন দুর্গতদের চার হাজার পিস তৈরি করা রুটি সঙ্গে গুড় দিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ হচ্ছে । আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে।

পাবনার বন্যা পরিস্থিতিঃ পাবনায় একদিন স্থিতিশীল অবস্থায় থাকার পর কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। অন্যদিকে বিপৎসীমার প্রায় শত সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মার পানি।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, গেল একদিন কোনও পরিবর্তন না থাকলেও আবার কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সকালে যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ির মথুরা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে এক সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে এখনও পানিবন্দি হয়ে রয়েছে পদ্মা ও যমুনা পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ। সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। নদী ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। বানভাসি এ সকল মানুষের পাশে সহায়তা দিচ্ছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com