এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদীর ওপর তোরাপগঞ্জ সড়কে চারাবাড়ি ঘাট সেতুর সন্নিকটে দ্বিতীয় বারের মতো অর্ধেকের বেশি রাস্তা ধসে পড়েছে। এতে করে পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ৫টি ইউনিয়নের সাথে শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। যাতায়াতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এলাকা জনসাধারন।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদনগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষার শুরু থেকে ব্রীজের ৫০০ গজ দক্ষিণে কয়েকটি অবৈধ বাংলা ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে মাটি তোলা হচ্ছে। সেই মাটি ভারি ট্রাক দিয়ে ব্রীজের পশ্চিম পাশে লিংক রাস্তা দিয়ে আনা নেওয়া সময় ভাঙ্গনের স্থানে প্রচুর চাপ পড়ে। যার ফলে ওই রাস্তার মাটি ধ্বসে গিয়ে টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কের যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে।
অবৈধ ড্রেজিং এর বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও প্রয়োজনীয় কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
সিএনজি অটোরিকশা চালক হুগড়া গ্রামের সাজেদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি ধ্বসে গেছে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়াও ব্রিজের নিচের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ।
যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। এখন ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার তা না হলে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কাতুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নায়েব আলী বলেন, নদী থেকে অবৈধ ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করা হয়। সেই বালু ভর্তি ভারি ট্রাক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় একই স্থানে বার বার ধ্বসে যাচ্ছে।
তাই অবৈধ ড্রেজিং বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল আলী বলেন, মাটির ট্রাক মোড় ঘোরানোর সময় অধিক চাপে বার বার রাস্তাটি ধ্বসে পড়েছে।ফলে পশ্চিম টাঙ্গাইলের মানুষ খুব কষ্টে শহরের সাথে যাতায়াত করছে।
অবৈধ ড্রেজিং এর বিষয়ে প্রশাসনকে অতিহিত করা হলেও রহস্যজনক কারনে ড্রেজার বন্ধ হয়নি।
ইতিমধ্যে সাংসদ আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।পরে এক হাজার জিও ব্যাগ ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। জিও ব্যাগ ফেলা শেষ হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে আশা করা যায়।
টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম আজম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাস্তা সচল করার জন্য এলজিইডি’র পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়াও স্থায়ী সমাধানের জন্য ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply