December 26, 2024, 1:48 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার থেকে লোপাট হলো ১৪,৯৪০ কোটি টাকা। কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। চলমান সময়ের প্রয়োজন নতুন রাজনীতি ও নতুন নেতৃত্ব ….এম এ আলীম সরকার লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর কবিতা অর্থনীতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে বঙ্গোপসাগর আন্তর্জাতিকভাবে বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে। চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান, দু-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে। নাটোরে সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে ডাকাতি। স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদের দোসর অস্ত্র ব্যবসায়ী দেলু নাঃগঞ্জ মহানগর তরুন দলের সদস্য সচিব ৫ আগস্টের পরে হচ্ছে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, চলছে দেদার অর্থ উপার্জন, মামলার বাদীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে! মুচলেকা দিয়ে যশোরের মাদ্রাসায় ‘জঙ্গি নাটকের’ অবসান। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে সাদপন্থিদের নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির ‎‎দাবীতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল। ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে : মোমিন মেহেদী ভালুকায় ছিন্নমূল ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে: মোমিন মেহেদী ইজতেমার ময়দানে হামলার বিচারের দাবিতে ভালুকায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। একটি সেতুর অভাবে, লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি। বিএসএমএমইউর সাথে বারডেম একাডেমি ও টিচার্স এসোসিয়েশনের সভা অনুষ্ঠিত। বিজ্ঞান আশীর্বাদ ও অভিশাপ প্রথম এরোপ্লেন আবিষ্কারের কাহিনী রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের অসাধ্য সাধন। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তীব্র প্রতিবাদ বিএসএমএমইউতে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা সাউন্ডবাংলা-বিজয়ের কবিতা-ছড়া পাঠে ৫ বিজয়ী ভালুকায় নতুন ইউএনও’র যোগদান ভালুকায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত নতুনধারার ৪ দিনব্যাপী বিজয়শ্রদ্ধা কর্মসূচি সমাপ্ত আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সাংবাদিক নুরুদ্দীন আহমেদ ভালুকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী আটক টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৭১ এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন। স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়ার মাজারে নাগরিক দলের শ্রদ্ধা

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম‌্যে অতিষ্ঠ রোগী ও তাদের স্বজনরা

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম‌্যে অতিষ্ঠ রোগী ও তাদের স্বজনরা

এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের উত্তর পাশে এক দল যুবক দাঁড়িয়ে আছেন। রোগী এলেই তাদের কাছে যাচ্ছেন যুবকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব যুবক হাসপাতালের পাশের ওষুধের দোকান ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের দালাল।

পেটব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন আলমগীর হোসেন। সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামতেই তার কাছে যান দুই যুবক। তারা রোগীর স্বজনদের বলেন, ‘আমরা এখানে থাকি। হাসপাতালে ভর্তি করতে সহযোগিতা করব।’ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। ভর্তির পর প্রেসক্রিপশনের কাগজটা হাতে নিয়ে কম দামে ওষুধ এনে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন যুবকদ্বয়। কিছুক্ষণ পর ওষুধ এনে দিলেন তারা।

আপাতদৃষ্টিতে ওই যুবকদের এ কাজ মহৎ মনে হলেও এর পেছনেই আছে আসল রহস‌্য। ওষুধ কেনার সময় টাকা আত্মসাৎ করেন তারা। ওষুধের প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি টাকা নেন দালালরা। এজন‌্যই তারা রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে খাতির জমানোর উদ্দেশ‌্যে ভালো ব‌্যবহার বা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন।

রোগী আলমীগর হোসেনের স্বজন হাফিজুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে দিনে এলে দালালরা বিরক্ত করে। রাতে এলে আরও বেশি বিরক্ত করে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দিনের চেয়ে রাতে দালালদের দৌরাত্ম‌্য বেশি।’

গত ২ জানুয়ারি ওই হাসপাতালে গিয়ে একই দৃশ্য দেখা যায়। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে নাগরপুর উপজেলার সল পাকুটিয়া এলাকা থেকে হাসপাতালে আসেন পা-ভাঙা রোগী আনোয়ার হোসেন। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমেই রোগীর স্বজনরা ট্রলি খুঁজতে থাকেন। এক দালাল বলেন, ‘ট্রলিম্যান আছে, আপনাদের চিন্তা করতে হবে না। আমি আপনাদের সহযোগিতা করছি।’ তিনি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধ এনে দেন।

রাত ৯টায় প্রচণ্ড শরীরব্যথা নিয়ে এলেঙ্গা থেকে হাসপাতালে আসেন বাছেদ মিয়া। তিনিও দালালের খপ্পরে পড়েন। রাত ৯টা ১০ মিনিটে টাঙ্গাইল শহরের কাগমারী থেকে সিনহা নামের এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। সে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করেন দালালরা। প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধ এনে দেন তারা।

দালালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত তারা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উত্তর ও পশ্চিম পাশে অবস্থিত ওষুধের দোকানগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ওই হাসপাতালে প্রতিদিন দুই বেলা ২৫ থেকে ৩০ জন কাজ করেন। প্রত্যেকের এলাকা ভাগ করা থাকে।

হাসপাতাল পুলিশ বক্সের এক এএসআই জানান, দালালদের মূল টার্গেট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসা রোগীরা। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দালালদের সহযোগিতা করেন। দালালরা জরুরি বিভাগ থেকে রোগীকে অনুসরণ করে ওয়ার্ডে যান। সাধারণত ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রেসক্রিপশন দেন। দালালদের নজর থাকে ওই প্রেসক্রিমশনের দিকে। এরপর সুযোগ বুঝে রোগীর স্বজনের সঙ্গে ভাব জমান তারা। এক্ষেত্রে হাসপাতালে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী দালালদের সহযোগিতা করেন। নানা কৌশলে দালালরা প্রেসক্রিপশন হস্তগত করে নির্দিষ্ট দোকানে নিয়ে যান রোগীর স্বজনদের। কয়েকজনকে স্বেচ্ছাসেবক নাম দিয়ে প্রকাশ্যে দালালি করারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে।

ভুক্তভোগীরা জানান, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিয়োগ করা দালালদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা। অনেক দালাল রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও অনেকটা অসহায়। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের অভিযানে দালালদের তৎপরতা সাময়িকভাবে কমলেও অল্প দিনেই তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে।

জানা যায়, দালালরা প্রথমে নিজেদের হাসপাতালের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কথা বলে রোগী ও রোগীর স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি অচল ও নিম্নমানের, এ দাবি করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এছাড়া, ওষুধের দোকান থেকে প্রতি হাজারে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমিশন নেন দালালরা। এছাড়া, কিছু রোগীর স্বজনের কাছ থেকে ওষুধের দাম বেশি নেন দালালেরা। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের কর্মচারীদের ম্যানেজ করেই দালালরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সকালে হাসপাতালের বহির্বিভাগ খোলা থাকায় দালালদের দৌরাত্ম‌্য তেমন চোখে পড়ে না। তবে রাতে দালালদের দৌরাত্ম‌্য বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

রোগীর স্বজন শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগের দিন দালালের মাধ্যমে যে ওষুধ ৫২০ টাকায় কিনেছি, পরের দিন সে ওষুধ ৩৫০ টাকায় পেয়েছি। দালাল ছাড়া ওষুধ কেনা ও ক্লিনিকে পরীক্ষা করা খুব কষ্ট। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল দালালমুক্ত চাই।’

জুয়েল রানা নামের আরেক ব‌্যক্তি বলেন, ‘হাসপাতালে এলে ওষুধ কোম্পানির লোকজনের পাশাপাশি দালালরা খুব বিরক্ত করে। আমরা বার বার দালালের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছি।’

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সদর উদ্দিন বলেন, ‘দালাল নির্মূলের বিষয়ে প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে দালাল নির্মূল করা হবে।’

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস‌্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসনকে বলে মাঝে মাঝে দালাল নির্মূলের জন্য অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর কিছুদিন বন্ধ থাকে। পরে আবার দালালদের তৎপরতা শুরু হয়। হাসপাতালে পুলিশ বক্সের সদস্যরা কী কাজ করেন, আমি জানি না। তাদেরকে বলা হলে তারা জানান, নিয়মিত কাজ করছেন। তবে পুলিশ বক্সের সদস্যরা কার্যকর নন।’

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com