November 22, 2024, 12:30 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার। টঙ্গীবাড়ীতে বীজ আলু ও সার ব্যাবসায়ী দের সাথে ইউএনওর মত বিনিময় সভা। বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা যশোর যাত্রীবাহী বাসের ভেতর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রুবেল। কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। গলি থেকে রাজপথ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী

জমির দলিল আছে দখল নাই। তাহলে করণীয় কী?

জমির দলিল আছে দখল নাই। তাহলে করণীয় কী?

আপনার কাছে জমির দলিল আছে, খতিয়ান আছে কিন্তু জমিটি ভোগ করতেছে অন্য কেউ। এ ক্ষেত্রে আপনি কী করবেন? এক্ষেত্রে আপনি কি জোর খাটিয়ে থানা পুলিশের মাধ্যমে জমির দখলে যাবেন নাকি আদালতে যাবেন; বুঝতে পারেন না। কোনটি করলে আপনি আপনার জমি ফেরত পাবেন?

প্রথমে দেখি আপনি আপনার জমি থেকে কী কী কারণে বেদখল হতে পারেন?

প্রভাবশালী মহল কতৃক জোরপূর্বক বেদখল,

বেদখল হওয়ার সময় নাবালক ছিলেন,

অন্যান্ন মালিকেরা আপনার অংশ সহ বিক্রি করে দিয়েছে,

ওয়ারিশ হিসেবে আপনার ভাগ আপনি পাননি,

জমির মালিক জমি বিক্রি করার পর পুনরায় অন্য কাউকে বিক্রি করেছেন এবং সে ব্যক্তিই এখন দখলে আছেন

দখল উদ্ধারে যে আইনগুলি সম্পর্কিত: ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮; ধারাসমূহ: ১৪৪, ১৪৫ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭; ধারাসমূহ: ৮, ৯, ৪২
তামাদি আইন, ১৯০৮; ধারাসমূহ: ৫, ৮, ২৮

সাধারণত ভুক্তভোগী যেখানে প্রতিকার চাইতে পারে

১. এলাকার বা মহল্লার মাতব্বর বা সভাপতি, মেম্বার-চেয়ারম্যান বা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি: এভাবে সালিশ বসিয়ে বিরোধের সমাধান করতে পারলে ভালো, তবে ঘুষের লেনদেন না করা উচিত। কারণ সালিশের সিদ্ধান্ত আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় শুধু দু পক্ষ মেনে নিলেই এর গ্রহণযোগ্যতা থাকে। আর সালিশের মাধ্যমে সমাধান করতে গিয়ে যেন কোনভাবেই কাল ক্ষেপন না করেন। বিশেষ করে সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে সমাধান করা ভালো।কারণ কালক্ষেপন করার ফলে আপনি অনেক আইনি প্রতিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। দুষ্ট পক্ষের সালিশের নামে ষড়যন্ত্র ও করতে পারে যাতে করে কালক্ষেপন করে আপনার আইনি প্রতিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারে।

২. থানা:
জমিজমার মালিকানা বা বিরোধ বিষয়ে থানা পুলিশের কোন ভূমিকা বা সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা নেই। যদিও থানায় বসে কেউ কেউ জমি বিরোধের নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ঘুষের লেনদেন থেকে বিরত থাকা উচিত কেননা থানার সিদ্ধান্ত দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই যে কারণে এটি অমান্য করলে থানার কিছু করার থাকেনা। জমি বিরোধের ক্ষেত্রে পুলিশ আনুষঙ্গিক ভূমিকা পালন করে, আইন অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ পালনে কাজ করে কিন্তু প্রত্যক্ষ ভাবে পুলিশের কোন ভূমিকা নেই। জমির মালিকানা ইস্যুতে একমাত্র দেওয়ানি আদালতকে একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু জমি নিয়ে বিরোধের ফলে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি হলে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে।

৩. ফৌজদারি আদালত:
বেদখল হওয়ার প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা করা। আইনি প্রতিকার পার্টটি দেখুন।

৪. দেওয়ানি আদালত:
এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে মামলা করা। আইনি প্রতিকার পার্টটি দেখুন।

এবার দেখি জমি থেকে বেদখল হলে আইন কী কী সুরক্ষা দেয়? তামাদি মেয়াদ অনুসারে আলোচনা।

১. বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে প্রতিকার: এটি একমাত্র ফৌজদারি প্রতিকার। এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর, তৎক্ষণাৎ প্রতিকার। মামলার সিদ্ধান্ত দ্রুততার সাথে নেয়া হয়। দেওয়ানি মামলার মতো দীর্ঘসূত্রিতা নাই। ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৪৫ ধারা বলে জমি থেকে বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ মামলা করা হয়। এক্ষেত্রে একই আইনের ১৪৪ ধারা ও সংযুক্ত করা যায়। উক্ত আদালতে ১৪৫ ধারায় অভিযোগ দায়ের করার পর তিনি অভিযোগ টি আমলে নিলে অভিযুক্ত পক্ষকে একটি নোটিশ দিবেন। নোটিশে স্থান ও তারিখ উল্লেখ করে হাজির হয়ে বক্তব্য পেশ করার জন্য বলবেন। এছাড়া তিনি পুলিশকে দখল বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন। এটি একটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক ফৌজদারি প্রতিকার। “যিনি দখলে আছেন তিনিই দখলে থাকবেন” এই নীতি অনুসরণ করা হয়। অর্থাৎ এ আদালতে জমির প্রকৃত মালিকানা কার যাচাই করা হয় না। শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ দখলে কে ছিল তা তদন্ত করে দেখা হয়। তাই শান্তিপূর্ণ দখলদার ব্যক্তি জমির প্রকৃত মালিকানা না হলেও তিনি এই প্রতিকার পাবেন অর্থাৎ তিনি দখল ফেরত পাবেন। এসময় প্রকৃত মালিকের প্রতিকার হলো দেওয়ানি আদালতে মামলা করা। আর প্রকৃত মালিক ও যদি অন্য কারো দ্বারা বেদখল হন তিনিও এই প্রতিকার পাবেন। এটিতে মামলার খরচাপাতি দেওয়ানি মামলা থেকে অনেক কম এবং সময় সাশ্রয়ী। তাই বেদখল হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যবস্থা নিলে মামলার খরচ থেকে বেঁচে যায়।

২. বেদখল হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে প্রতিকার: বেদখল হওয়ার ২ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে এ পদক্ষেপ নেয়া যায়। অবশ্য ৬ মাসের মধ্যে এ পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি একটি দেওয়ানি প্রতিকার। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মোতাবেক এই প্রতিকার প্রদান করা হয়। এজন্য দেওয়ানি আদালতে দখল উচ্ছেদের মামলা করতে হবে। এ মামলায় ১৪৫ ধারার মতো মালিকানা কার যাচাই করা হয় না। শুধু প্রকৃত দখল কার ছিল সেটিই প্রমাণ করা হয়। তাই মালিকানা বিষয়ক প্রমাণাদি এ মামলায় তেমন গুরুত্ব বহন করেনা। যিনি প্রমান করতে পারবেন, তিনি শান্তিপূর্ণ দখলে ছিলেন, অপরপক্ষ বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ করে তাকে বেদখল করেছেন। তাকেই আদালত দখল ফেরত পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এই মামলার খরচ দেওয়ানি আদালতের চেয়ে কম অর্থাৎ মামলার মূল্যমানের উপর এডভোলারাম কোর্ট ফি এর অর্ধেক। এ মামলায় প্রকৃত মালিক যদি তার জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তার করণীয় হলো সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারা ও ৪২ ধারায় মামলা করা।

৪. বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে প্রতিকার: বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে আইনি প্রতিকার পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। যদি ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায় তামাদি আইনের ৫ ধারায় তামাদি মার্জনার দরখাস্ত দাখিল করে আদালত উক্তরূপ মামলা করা যায়। এক্ষেত্রে ১২ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার কারণ সমূহ আদালতের কাছে ব্যাখ্যা করতে হয়।

উপরিউক্ত তামাদি সময়সীমা নাবালক ও ওয়ারিশের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম আছে।

৪. বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে প্রতিকার: বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে আইনি প্রতিকার পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। যদি ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায় তামাদি আইনের ৫ ধারায় তামাদি মার্জনার দরখাস্ত দাখিল করে আদালত উক্তরূপ মামলা করা যায়। এক্ষেত্রে ১২ বছর অতিক্রান্ত হ

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com