ফাহাদ মোল্লা, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কমলা বাগানে প্রবেশ করতেই দেখা গেল কমলা চাষী আতাউর রহমান গাছ থেকে কমলা সংগ্রহে ব্যস্ত।কারণ আশেপাশের কয়েকটি জেলায় তাকে কমলা পাঠাতে হবে।আমাকেও কমলা দিয়ে আপ্যায়ন করলেন।নিজ হাতে গাছ থেকে কমলা ছিড়ে খাওয়ার তৃপ্তিটাই ছিল আলাদা।
একটা সময় ছিল যদি বলা হতো কমলার বাড়ি কোথায়? তাহলে আমরা মুখস্থ বলে দিতে পারতাম ভারতের দার্জিলিং নতুবা সিলেটের শ্রীমঙ্গল।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন কমলার চাষ বিস্তার লাভ করেছে।
কথা বলছি উত্তরের জনপদ নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের আতাউর রহমানের কমলা বাগান থেকে।আতাউর রহমান জানান, গত পাঁচ বছর আগে শখের বসে নিজের বাড়ির পাশে পাঁচ বিঘা জমিতে যশোর থেকে ৬০টি কমলার চারা এনে রোপন করেন।এলাকাবাসী বলেছিল এখানে কমলা চাষ সম্ভব নয়।আতাউর রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় যদি কমলা হয় তাহলে আমার এখানে কেন হবে না, একবার চেষ্টা করে দেখি কি হয়।শুরু করেন পরিচর্যা।যার ফলে গত তিন বছর যাবত প্রতি মৌসুমে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করছেন এই বাগান থেকে।চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেছেন আরও ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার কমলা বিক্রির আশা করছেন।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কমলার আকার বেশ ভালো এবং স্বাদ বেশ মিষ্টি।
ছুটির দিনে বেড়াতে অনেকেই কমলা বাগান দেখতে পরিবারসহ চলে যাচ্ছেন আতাউর রহমানের এই কমলা বাগানে।আতাউর রহমান আরো জানান, কমলার তেমন কোন রোগ বালাই নেই মাঝে মাঝে কিছু স্প্রে করলেই কমলা চাষে বেশ সফল হওয়া যায়।তাকে দেখে তার এলাকার অনেক কৃষক অনুপ্রাণিত হয়ে কমলা বাগান করার আশা ব্যক্ত করছেন।উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা মাঝেমধ্যে এসে আতাউর রহমানের কমলা বাগান পরিদর্শন করছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply