দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারায় গত ক’দিন ধরে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি শিল্পকারখানায় কমেছে শিল্পের উৎপাদন।
বাংলাদেশের পুরো উৎপাদনশীল শিল্প ও রপ্তানিখাত ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি। রপ্তানিতে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট সমাধান করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। লোডশেডিংয়ের কারণে পোশাক কারখানার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান না করলে আমাদের রপ্তানিখাত মুখ থুবড়ে পড়বে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোথাও কোথাও ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। আর ঢাকায় এলাকাভেদে এখন ১৫০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে গতকাল ২ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং দেওয়া হয়। গত ক’দিন গড়ে দেড় থেকে ২ হাজার মেগাওয়াটের ওপর লোডশেডিং হচ্ছে। তীব্র গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে শিশু ও বয়স্কদের।
গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। সরকার বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে চেষ্টা করছে। এ জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জ্বালানি, কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply