October 18, 2024, 6:14 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
নারায়ণঞ্জে মানব কল্যাণ পরিষদের মানবিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত কিশোর আদীল হত্যা মামলার আসামী বেনাপোল ইমিগ্রেশনে গ্রেফতার। ঢাকায় বসবাসরত নেপালী কমিউনিটির উদ্যোগে বন্যার্তদের জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান ভালুকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত “আবদুস সোবহান গোলাপ” একজন শীর্ষ অপরাধ ও দুর্নীতিবাজের সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে জন্য পরোয়ানা জারি। নুনের অশেষ গুন। আওয়ামী লীগের আর কোন ভবিষ্যত নেই। -অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ঐতিহাসিক বঙ্গভঙ্গ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক সংসদ উপনেতা ও মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী আর নেই। ভালুকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ক্ষমতার পট পরিবর্তনে কেবল চেহারায় বদল ঘটেছে, বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক অবরোধ করেছে একটি ওষুধ কোম্পানির শ্রমিকরা। ১৫ আগস্ট সহ জাতীয় আট দিবস বাতিল হচ্ছে। গাছের উপর মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক নামালো ফায়ার সার্ভিস শেখ হাসিনা অক্টবরের শেষের দিকে ভারত থেকে সফরে বের হবেন। চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় নুদরাত জাহান নোশিন। মেট্রোরেলে একক যাত্রার ২ লাখ টিকেট লাপাত্তা! মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, লন্ডন বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক কলকাতার অন্যতম প্রাচীনতম দুর্গা পুজা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সহ বহু স্বনামধন্য ব্যক্তির সঙ্গে জড়িত। ভালুকায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন ছাত্রদলের আহবায়ক সানি বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ভালুকায় গেস্ট হাউজ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার দলের প্রার্থী হতে হলে দলের প্রাথমিক সদস্য পদে অন্তত তিন বছর থাকতে হবে, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটে হবে। -এম সাখাওয়াত হোসেন মওলানা ভাসানীর কারাবরণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মরহুম এডভোকেট আফসার আহমেদ সিদ্দিকীর ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্র করছে: ফারুক সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে শারদীয় দূর্গা পুজাকে সংহতি জানান, মুসলিম,হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রতি পরিষদ। ইন্টারনেট আর্কাইভে সাইবার হামলা, ৩ কোটি পাসওয়ার্ড চুরি। সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম ডা. বি. চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দু’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত

দুর্গাপূজা : এই পারের মুসলিমদের সবচেয়ে বড় আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার উৎসব।

দুর্গাপূজা : এই পারের মুসলিমদের সবচেয়ে বড় আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার উৎসব।

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ সারা বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করার পর মহালয়ার চন্ডি পাঠ শুরু হলেই কলকাতা দুর্গা পুজার উৎসবে মেতে ওঠে। শুধু পুজোই নয়, এটি বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসবে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ গ্রহন করে থাকেন।এই উৎসব মুসলিমদের কাছে একটি মস্ত বড় আকর্ষণ। কলকাতার ফল বিক্রেতাদের ৮০ শতাংশই মুসলিম। ফুল বিক্রেতা মুসলিম সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। এই সময়টিতে তারা সারা বছরের উপার্জন করে থাকেন। জামা কাপড়ের দোকান কয়েকটি এলাকায় মুসলিমদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সারা বছরের বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৬০ শতাংশ শুধু দুর্গা পূজার উৎসব থেকেই তাদের আসে। মণ্ডপ সজ্জা: সারা কলকাতার যতো পুজা মন্ডপ তৈরি হয়,তার ৯০ শতাংশ শ্রমিক কর্মী মুসলিম।মহা অষ্টমীর পর বাঙালিদের মাংস খেতেই হয়। আর এই মাংসের দোকান মুসলিমরা ছাড়া খুব কম সংখ্যক হিন্দু দেখা যায়।বাংলাদেশের কট্টর মৌলবাদীদের মতো ধর্মীয় অন্ধত্ব নেই এখানে। মাংসের জন্য লাইন উপচে পড়ে মুসলিমদের দোকানে। কাজেই মুসলিমদের রুজি রোজগারের সবচেয়ে বড় সুযোগ এই দুর্গা পুজা, কালী পূজা ও অন্যান্য পুজার সময়।বাংলাদেশে দুর্গা মূর্তি এবং মণ্ডপ গুঁড়িয়ে দেওয়ার দুঃসংবাদ যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন কিছু কট্টরবাদীরা এপারেও মুসলিম বয়কটের আওয়াজ তোলেন। কিন্তু না , আম জনতা তাতে কোন সাড়া দেন না। আর তাই মুসলিমরাও দুর্গা পুজা, কালী পুজাকে উৎসব বলেই মেনে থাকেন। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মুসলিমদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য তো এরই সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের কট্টর বাদীদের এটা ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। যদি তারা ভারতীয় মুসলিমদের স্বজাতি বলে মনে করেন।

কলকাতার ৫ টি বনেদি বাড়ির দুর্গাপূজা 

ছাতুবাবু লাটুবাবু ঠাকুরবাড়ি
১৭৭০ সালে এই স্থানের দুর্গা পূজার উত্সব শুরু হয়েছিল। রাম দুলাল দে দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, যার দারিদ্র্য থেকে সমৃদ্ধির অসাধারণ যাত্রা কলকাতার লোককাহিনীর অংশ হয়ে উঠেছে, তার দুই ছেলে আশুতোষ দে (দেব সরকার) এবং প্রমথ নাথ দে-এর নামে এই পূজার নামকরণ করা হয়েছে। এই ধনী ব্যবসায়ীরা উদযাপনে অতুলনীয় জাঁকজমক এবং জাঁকজমক নিয়ে এসেছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন, দেবী দুর্গা তার পরিচারিকা, জয়া এবং বিজয়া সহ থাকেন, যা উত্সবগুলিতে করুণা এবং শক্তির আভা যোগ করে।
ঠিকানা: ৬৭, অভেদানন্দ রোড, মানিকতলা, গিরিশ পার্ক, মানিকতলা, হেদুয়া, ওয়ার্ড নম্বর ১৬ কলকাতা
শোভাবাজার রাজবাড়ী পূজা
শোভাবাজার রাজবাড়ি কলকাতা উইকি কমন্সের অন্যতম জনপ্রিয় বনেদি দুর্গা পূজা
দুর্গাপূজা শহরের একটি বিশিষ্ট মর্যাদা ধারণ করে এবং রাজা নবকৃষ্ণ দেবের বংশধরদের দ্বারা আয়োজিত হয়, যিনি শোভাবাজার রাজ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব রবার্ট ক্লাইভের আস্থাভাজন ছিলেন। ঐতিহাসিক গুরুত্ব হল এই যে, নবকৃষ্ণ দেব পলাশীর যুদ্ধে রবার্ট ক্লাইভের বিজয়ের পর রবার্ট ক্লাইভকে তাঁর বাড়িতে সদয়ভাবে আতিথ্য করেছিলেন । আজ, সাইটটি অসংখ্য দর্শকদের আকর্ষণ করে যারা দুর্গাপূজা উদযাপনের দিনগুলিতে উদ্ভূত ঐতিহ্যবাহী আচার এবং আচারগুলি দেখতে আসে। রাজবাড়িতে পৈতৃক স্টাইলাইজড ঠাকুর দালানকে ঘিরে উৎসবের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । একই প্ল্যাটফর্মে একক পটভূমিতে দেবী দুর্গা এবং তার সন্তানদের আকর্ষণীয় প্রদর্শন উদযাপনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
ঠিকানা: ৩৬ এবং৩৩, রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিট, সোভাবাজার, কলকাতা।
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ী পূজা:
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি : , ১৮৫৫ সালে দাওয়ারাকা নাথ দত্ত দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, কলকাতার বনেদি বাড়ী দুর্গা পূজা পরিক্রমায় একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। ঠনঠানিয়ার দত্তদের “হরা গৌরী” পূজা করার একটি অনন্য ঐতিহ্য রয়েছে, যেখানে পূজা একসঙ্গে দুর্গা ও শিবকে পূজা করে। এই পূজাটি ধুনো পোরানো আচারের জন্য পরিচিত , যেখানে বিবাহিত মহিলারা তাদের পরিবারের মঙ্গল কামনায় দেবীর কাছে প্রার্থনা করার সময় তাদের মাথায় এবং হাতের তালুতে জ্বলন্ত কয়লাযুক্ত মাটির প্লেট রাখে।
ঠিকানা: ৩, বিধান সরণি রোড, কলেজ স্ট্রিট, কলকাতা

জোড়াসাঁকো শিব কৃষ্ণ দাও বারি পূজা
জোড়াসাঁকোর দাসরা ১৮৫৯ সাল থেকে তাদের ঠাকুর দালানে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। এই উৎসবটি প্রাথমিকভাবে ১৮৪০ সালে শিবকৃষ্ণ দা’র পিতা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু তার ছেলের নেতৃত্বে এটি প্রাধান্য লাভ করেছিল, যারা উৎসবে জাঁকজমক যোগ করেছিল। এখানকার দেবী মূর্তিটি সোনার অলঙ্কারের চমৎকার সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত। বনেদি বাড়ীর চলচিত্র সুন্দরভাবে কারুকাজ করা হয়েছে এবং দেবীর অস্ত্রগুলি পিতলের তৈরি। মজার বিষয় হল, চমৎকার পৈতৃক প্রাসাদটি, এটির স্তম্ভ বিশিষ্ট হল এবং অত্যধিক ঝুলন্ত বারান্দার জন্য পরিচিত, এটি অসংখ্য চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য একটি পছন্দের স্থান হয়েছে।
ঠিকানা: ১২ শিব কৃষ্ণ দা এলএন, রাজা কাটরা, সিংঘিবাগান, জোড়াসাঁকো, কলকাতা
মল্লিক বাড়ির পূজা
বনেদি বাড়ি পূজা দক্ষিণ কলকাতার একটি পাড়া ভবানীপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এটি বাংলা চলচ্চিত্রের একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব রঞ্জিত মল্লিকের বাসভবনে আয়োজিত হয় এবং ১৯২৫ সাল থেকে এটি একটি ঐতিহ্য। রঞ্জিত মল্লিকের কন্যা, কোয়েল, যিনি টলিউডের একজন বিশিষ্ট অভিনেত্রী, প্রতি বছর উত্সবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পূজা বৈষ্ণব পূজা পদ্ধতি অনুসরণ করে ।
অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারে পূজার তেমন জলুষ নেই।মানুষের মধ্যে উৎসাহে ভাটা পড়েছে। মাত্র দু মাসের মধ্যে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক জুনিয়র চিকিৎসকের মর্মান্তিক গণ ধর্ষণ ও হত্যার কিছুদিনের মধ্যেই আরো চারটি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সারা কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত এমনকি বিশ্ব উত্তাল হয়ে উঠেছে। জুনিয়র চিকিৎসকেরা দুমাস ধরে তীব্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রকৃত প্রভাবশালী অপরাধীদের আড়াল করতে সরকার দেশের শীর্ষ আদালতে ২১ জন দেশের শীর্ষ আইনজীবীকে নিয়োগ করেছে। ফলে প্রতিবাদ ,আন্দোলন আরো তীব্রতর হচ্ছে। এর অনেকটাই প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে জনগণের মধ্যে।তাই পুজা অনেকটাই এবার ঢিমে তালে হচ্ছে। এক মুসলিম ব্যাপারী জানালেন, তিনি প্রতিবছর দশটি পুজা প্যান্ডেলে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার ফল,ফুল, সবজি, শ্রমিক সরবরাহ করেন,কিন্তু এবারে অগ্নিমূল্যের বাজারেও মাত্র ২৩ লক্ষ টাকার অর্ডার পেয়েছেন।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com