ফরিদপুরের বহুল আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় রুবেল-বরকতের পরে এবার গ্রেফতার হলেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি গত ২৬ জুন ২ হাজার কোটি টাকা অবৈধ অর্থ ও সম্পদ আয় ও পাচারের অভিযোগ এনে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করেন। মামলাটির বাদী সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
এই মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
গত ৭ জুন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল সাহার বাড়ীতে হামলা মালায় গ্রেফতার হন রুবেল ও বরকত। পরে তাদের মানিলন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে প্রথমে দুই দিন পরে আরো তিন দিনের রিমান্ড শুনানী শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় দুই ভায়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে তাদের কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রেরণ করে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামান জানান, সিআইডি’র মানি লন্ডারিং মামলায় প্রধান আসামী রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাজমুল ইসলাম লেভীর সম্পৃক্ততার প্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর নিজবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকা সিআইডির রিকুইজিশন মোতাবেক লেভীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যেই লেভীকে ঢাকার সিআইডি টিম এসে নিয়ে যাবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply