গাজী নজরুল ইসলাম ডিপটি, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ওসি সিদ্ধিরগঞ্জ কামরুল ফারুকের মাদক বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির কারণে নিরাপত্তা ব্যাহত, প্রকাশ্যে খুন ও দাঙ্গা হাঙ্গামায় নিজের দোষ ঢাকতে নীরব ওসি।

১আগস্ট শনিবার ঈদের দিন রাত সোয়া ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানটুলী এলাকায় বিদেশ ফেরত শুভ নামের একজন মাদকসেবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা, হাজীগঞ্জ এমসার্কাস এলাকার বাসিন্দা মাদকসেবী সুফিয়ান, স্বজল, কালু, হৃদয়, ছোয়াদ, আরিফ, কালু, সোহাগ, বাদশা, শাওন সহ অজ্ঞাতনামা প্রায় ১০/১৫ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী।

সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানটুলীতে হত্যার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ফোন করা হলেও পুলিশ দেরিতে আসার কারনে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। হত্যার কারন জানতে সাংবাদিকরা ফোন করলে তাদের সামনে কথা বলতে চাননি ওসি সিদ্ধিরগঞ্জ কামরুল ফারুক।

উক্ত হত্যার একদিন পর রোববার রাত সারে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়ও ওসিকে ফোন দেয় স্থানীয়রা। সেখানে যেতেও দেরি করেন পুলিশ এমন অভিযোগও করেছেন অনেকে। অনেক দেরি করে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোন সদুত্তর দেননি। ঘটনাস্থলে ওসি কামরুল ফারুক সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণও করেন।

এর আগেও আমাদের প্রতিনিধি গাজী নজরুল ইসলাম ডিপটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়ির গেটের সামনে প্রায় ১০/১২ জন মাদকসেবী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে হামলা চালায় মাদকসেবী স্বজল। এর ফলে আমাদের প্রতিনিধি মারাত্মকভাবে আহত হন, বিষয়টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অবহিত করেও কোনো সারা পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে জেলা প্রোশাসক নারায়ণগঞ্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ইতিপূর্বে ওসি সিদ্ধিরগঞ্জ কামরুল ফারুকের মাদক বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ, এবং পুলিশের আইজিপি বরাবর অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। ওসি কামরুল ফারুক নির্বিগ্নে বহাল তবিয়তে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট অব্যাহত রেখেছেন। যার ফলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। অহরহ মাদক বাণিজ্য, খুন ও দাংগাহাঙ্গামার একটি ক্রাইমজোনে পরিণত হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ। স্থানীয়দের অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজির সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকার কারণে মাদক কারবারী ও চাঁদাবাজরা হয়ে উঠেছে ব্যাপরোয়া। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ মাদক ও চাদাঁবাজিথেকে নিয়মিত মাসোহারা পায়, যার ফলে প্রকাশ্যে পুলিশের সামনেই ঘটে যাচ্ছে অপরাধ। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে, এলাকাবাসী এই উদ্ভট পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান চায়।