নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন যশোর থেকে।
গত কয়েক দিনের মৃদু ঝড় ও টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে যশোরের শার্শা উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের গ্রাম কৃষকের সদ্য রোপনের আমন ধান। পানিতে ডুবে আছে কৃষকের সোনালী ফসলের স্বপ্ন।
ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে এ অঞ্চলের শত শত কৃষক পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
চলতি মৌসুমে আমনে চরম লোকসান ভেবে আগামীতে রবি ফসল ও বোরো মৌসুমে ফসলের আবাদ কীভাবে করবেন সেই চিন্তায় গভীর ভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা।
বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে শুধু পানি আর পানি। চারিদিকে থইথই করছ পানিতে ভরা ফসলের মাঠ। দেখে বোঝার উপায় নেই এখানেই ডুবে আছে কৃষকের সোনালী ফসল।
গত কয়েক দিনের মৃদু বাতাস আর টানা বৃষ্টিতে শার্শা উপজেলার শত শত কৃষকের হাজার হাজার বিঘা রোপনকৃত আমন ধান। বীজতলা তলিয়ে গেছে পানিতে।
পাশাপাশি অনেক কৃষকের সবজি ক্ষেতও বিনষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও আমন ধানের গাছ মাথা উঁচু দাঁড়িয়ে থাকলেও গত দু’দিনে তা পঁচন ধরতে শুরু করেছে । ফলে আমন ধানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
এদিকে আরও ৩ থেকে৫ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে কিংবা পানি সরানো না গেলে আমন ধানের সাথে সবজি ক্ষেতও সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
উপজেলার এ সমস্ত নিম্ন অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে বৃষ্টি বন্ধ হলেও এবং কয়েকদিন আকাশ ভাল গেলে ধান গাছের মাথা জাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে জানান কৃষকরা।
এদিকে ওভিঙ্গ মহলের দাবি করে বলছেন বিভিন্ন জায়গাই বেতনা নদী খাল বিলের সরকারী উনমুক্তো যাইগা দখল করে বেড়ীবাধ দিয়ে নিজেদের ফায়দা লুটে পুটে খাচ্ছে এক ধরনের পেত আত্তারা । আর এর জন্য সধারণ কৃষক এরা এর সুফল পাচ্ছেনা। আর পানি নিস্কাসণে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বলে অনেকে দাবি করেছেন।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৫শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের এই সংকটময় দুঃসময়ে হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরেন দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার সার্বিক ব্যবস্থা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply