আজ থেকে ত্রিশ বছর আগেও বাংলাদেশের গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় খেলা ছিল দাড়িয়া বান্ধা। যা আজ কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে। অঞ্চল ভেদে স্থানীয় নিয়ম-কানুন অনুযায়ী এ খেলা পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রায় সব এলাকার শিশুরাই খেলাটি পছন্দ করলেও কোন এলাকায় রাখালদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং বিকাল থেকে মধ্যরাত অবধি এ খেলা চলে। এ খেলার মাঠটি ৫০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট প্রস্থে, মাঝখানে সমান্তরাল ৫০ ফুট লম্বা ও ১ ফুট চওড়া একটি লাইন থাকবে। ১ ফুট অন্তর আড়াআড়ি ৪টি লাইনে পুরো কোর্টটি ১০ ইঞ্চি/১০টি খোপে ভাগ করা থাকবে। আড়াআড়ি ৬টি লাইন ১ ফুট চওড়া হবে। প্রত্যেক দলে ৬-৮ জন করে খেলোয়াড় থাকে। টস করে আক্রমণকারী ও প্রতিরক্ষাকারী স্থির করা হয়। ২৫ মিনিট খেলা, ৫ মিনিট বিশ্রাম, আবার ২৫ মিনিট খেলা- এই নিয়মে খেলা চলে। খেলার সময় একজন আউট হলে অন্যদলের অর্ধাংশ আক্রমণ করার সুযোগ পাবে। খেলার ফলাফল অমীমাংসিত থাকলে ১০-১-১০ মিনিট আবার খেলে খেলার ফলাফল নির্ধারণ করা যায়। প্রতিটি আড়া কোর্টে একজন করে খেলোয়াড় দাঁড়ায়। এখানেই দাঁড়িয়ে অন্য দলের খেলোয়াড়দের ঘরের ভেতর ঢুকতে বাধা দেয়। কোর্টের ওপর বা ঘরের ভেতর অন্য দলের খেলোয়াড়কে ছুঁতে পারলে সে আউট হয়ে যাবে। এভাবেই জয়-পরাজয় নিধারণ হয়।
শেখ নজরুল ইসলাম
লেকক ও গবেষক
পরিচালক প্রশাসন,
দুরন্ত সত্যের সন্ধানে (দুসস)
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply