November 1, 2024, 12:58 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে হঠকারি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেনাপোলে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামীসহ আটক চারজন। পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিলেই মওলানা ভাসানী ইতিহাস থেকে মুছে যাবে না ….. নজরুল ইসলাম খান ভালুকায় গোল টেবিল আলোচনা অলি আহাদ আজীবন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না কেন? শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত খোলসের আড়ালে এক অন্যরকম ভয়ংকর মোজাম্মেল। ভালুকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত ও একজন নারী গুরুতর আহত ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচন: জাহিদ ঘূর্ণিঝড় “দানা” নতুনধারার ১২ বছর উপলক্ষে ৪ দফা নিয়ে বিভাগীয় পথ সমাবেশ। কাঁচালঙ্কা (কাঁচা মরিচ) এর কতগুণ! রাজধানীর পার্ক ও খোলা স্থানে সারিবদ্ধ অবৈধ খাবারের রেস্টুরেন্ট! বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ সীমিত করলো সরকার। শেখ হাসিনাসহ পরিবারের অন্যদের নামে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ, তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট । ভালুকায় সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে নির্বাচন চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন। ৫ম ও ৮ম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক থেকে মওলানা ভাসানীর জীবনী প্রত্যাহার জঘন্য ইতিহাস বিকৃতি …..শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বঙ্গভবন এলাকায় বিজিবি মোতায়েন। মাত্র ১ দিনের মধ্যে তাঁর কাছে বড় হওয়া ১২৫টি কুমিরের প্রাণ কেড়ে নিলেন এক কৃষক।কারণ নিজেই জানিয়েছেন তিনি কুলাউড়ায় সাবেক এমপি, শিক্ষানুরাগী এএনএম ইউসুফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন মোল্লাহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা অলিদ সিকদারের বাড়িতে আগুন, প্রাণভয়ে দেশ ত্যাগ, জড়িয়েছে মিথ্যা মামলায়। শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ খুঁজে পাননি রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন। দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে নিরাপদ সড়ক গড়তে (প্রয়াত জাহানারা কাঞ্চন স্মরণে) ফ্যাসিবাদী শাসনের সহযোগী জাসদ ও বাংলাদেশ বিএসএমএমইউতে ওয়ার্ল্ড অস্টিওপোরসিস ডে ২০২৪ উদযাপিত, হাড়ক্ষয়ের কারণ প্রতিকার চিকিৎসার উপর গুরুত্বারোপ। মঙ্গলবার সাবেক এমপি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী এএনএম ইউসুফের ১৫ম মৃত্যু বার্ষিকী কাশেমপুরের ৪৮ পরিবার জমি ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। ২০ কোটি বছর আগের গান্ডোয়ানা যুগের প্রাণী এখনো ভারতে ঘুরছে

রংপুরের গঙ্গাচড়ার বিনা দোষে ছয় বছর কনডেম সেলে মাজেদা।

রংপুরের গঙ্গাচড়ার বিনা দোষে ছয় বছর কনডেম সেলে মাজেদা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুরের গঙ্গাচড়ার গৃহবধূ মাজেদা বেগম বিনা দোষে সন্তানসহ ছয় বছর রয়েছেন কনডেম সেলে। ধর্ষণ ও ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে পুলিশ তাকে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছিল। এর ভিত্তিতে শিশু রুম্মান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলাটি ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য এলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বুধবার তাকে খালাস দেন। এখন তিনি কারামুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।

ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেছেন মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন গৃহবধূ মাজেদা বেগম। জবানবন্দি মিথ্যা প্রতীয়মান হওয়ায় বুধবার ফাঁসির আদেশ থেকে তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

সূত্রমতে, গঙ্গাচড়া থানার ঠাকুরদহ মন্দিরপাড়া এলাকায় ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রুম্মান নামে এক শিশু খুন হয়। ১০ জুলাই হত্যাকারী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় পাশের বাড়ির গৃহবধূ মাজেদা বেগমকে। গ্রেফতারের পর বেআইনিভাবে মাজেদাকে ২ দিন থানায় আটকে রেখে ১২ জুলাই আদালতে হাজির করা হয়। শিশুটিকে ‘গলাটিপে হত্যা’র কথা স্বীকার করে সেদিনই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। দীর্ঘ আট বছর পর ২০১৫ সালের ৭ মে মাজেদাকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। তার কোলে তখন ১৩ মাসের সন্তান।

সূত্র জানায়, রায়ের দিন ওই শিশুসন্তানকে কোলে নিয়েই আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন মাজেদা। ফাঁসির আদেশ হওয়ায় মৃত্যু পরোয়ানার বোঝা মাথায় নিয়ে তাকে কারাগারে যেতে হয়। এ সময় আদালতের নির্দেশে শিশু মারুফকে নিয়েই মৃত্যুকুঠরিতে ঢোকেন মাজেদা। এখনও তারা সেখানেই রয়েছেন।

সূত্র জানায়, ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে এলে নথি দেখে খটকা লাগে উচ্চ আদালতের। কারণ, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে মাজেদা ‘গলাটিপে শিশুটিকে হত্যা’র কথা স্বীকার করলেও, সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গলায় রশি প্যাঁচিয়ে রুম্মানকে হত্যার কথা বলা হয়। শুধু তাই নয়, শ্বশুরকে ফাঁসাতে এই হত্যা করেছিলেন বলে জবানবন্দিতে ‘স্বীকার’ করেন মাজেদা। প্রশ্ন উঠেছে, শ্বশুরকে ফাঁসাতে চাইলে খুন করে লাশ তার বাড়িতেই রাখতে পারতেন মাজেদা। তা না করে কেন লাশটি পরিত্যক্ত মন্দিরে নিয়ে গেলেন?

মাজেদার জবানবন্দির গুরুতর এ ত্রুটি উঠে আসে উচ্চ আদালতের সামনে। তখন জানা যায়, পুলিশ তাকে ধর্ষণ ও তার সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে। পরে বিষয়টি সামনে এনে আদালতের কাছে এই জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনও করেছিলেন মাজেদা। তবে বিচারিক আদালত তা আমলে না নিয়ে তাকে ফাঁসির আদেশ দেন।

১৩ মাস বয়সে শিশু মারুফ মায়ের সঙ্গে ঢুকেছিল কনডেম সেলে। এখন তার বয়স ৬ বছর। নিরপরাধ হয়েও মায়ের সঙ্গে সঙ্গে তার জীবন থেকেও চলে গেছে ৫টি বছর।

নিরপরাধ স্ত্রীর কারাভোগের জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার চেয়ে মাজেদার স্বামী সাজু মিয়া বলেছেন পুলিশ প্রশাসন যদি সঠিকভাবে তদন্ত করত, তাহলে আমার নিরপরাধ স্ত্রী ও সন্তানের এই শাস্তি পেতে হতো না। ছয়-সাত বছর ধরে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, আমি প্রশাসনের কাছে তার ক্ষতিপূরণ চাই।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com