নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন। যশোর আবার হঠাৎ করে বাড়ছে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা। আগের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। গত তিন মাসে যশোর জেলায় করোনা শূন্যের কোটায় থাকলেওগত জুন মাস থেকে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর জেলায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা এ মাসের সর্বোচ্চ। গত এক সপ্তাহে যশোর জেলায় ২৪ জনের করোনা শনাক্ত ধরা হয়েছে।
গতকাল বুধবার করোনার টিকা নিয়েছেন সাত হাজার নয়শত ৯২ জন। এরমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন একশত ৯২, দ্বিতীয় ডোজ আটশত’ ৩১ এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন সাত হাজার ৩২ জন।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার নাসিম ফেরদৌস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত রয়েছেন। তারা সকলেই যশোর সদর উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমান হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন দুই’জন। হাসপাতাল আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ১১ জন। ২০২০ সালের ৫ই জুন থেকে এ পর্যন্ত এ জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ২৭ হাজার চার শতজন। হাসপাতাল আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন আট হাজার ছয়শত’ ৯০ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার চারশত’৭৯ জন। মারা গেছে পাঁচশত’ ৩৬ জন।
যশোর হাসপাতাল এর তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান জানায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সহ আক্রান্তদের চিকিৎসার স্বার্থে হাসপাতালের রেডজোনে (নারী-পুরুষ) একশত’ ৪৬ ও ইয়োলোজোনে ২২ টি শয্যা প্রস্তুত আছে। এছাড়াও করোনা রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে তিনটি বেড খালি রাখা হয়েছে। হাসপাতালে বর্তমানে অক্সিজেনের সংকট নেই।
সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানায়, ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবী যশোর সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালএ দুইশত’ ও জেলার সাতটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও একশত’ জন করে অর্থাৎ নয়শত’ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা দেয়ার জন্যও প্রস্তুত রয়েছেন। যদি যশোর ভাইরাসের সংক্রমন বেসি ঘটে তাহলে জেনারেল হাসপাতালের পৃথক ওয়ার্ডের ১০টি বিশেষ কেবিন ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ৪০টি শয্যার পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া নিয়ে রোগীদের দ্রত সেবা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
গতকাল বুধবার এ জেলায় টিকা নিয়েছেন সাত হাজার নয়শত’ ৯২ জন। অভয়নগর উপজেলায় তিনশত’ ৯২জন, বাঘারপাড়া উপজেলায় তিনশত’ দুই, চৌগাছা উপজেলায় তিনশত’ ৩৯, সদর জেলায় তিন হাজার ৫৮, ঝিকরগাছা উপজেলায় তিনশত’ ৫৯, কেশবপুর উপজেলায় চারশত ৮২জন, মণিরামপুর উপজলায় পাঁচশত’ ৪০জন ও শার্শা উপজেলায় দুই’ হাজার চারশত’ ৬৮ জন।
২০২০ সালে উল্লেখ্য, গত বছরের এই সময় যশোর প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল একশত’ জনেরও বেসি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply