ডেঙ্গুর কোন ঔষধ নাই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েজান। মূল চিকিৎসা হচ্ছে শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স ঠিক রাখা। জ্বর কমানোর জন্য নরমাল প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ঔষধ সেবন একেবারে নিষেধ। ফ্লুইড খাবেন বেশি করে, যেমন ডাবের পানি, বাসায় বানানো ফলের রস, লেবুর শরবত ইত্যাদি।
জ্বর এলেই Dengue Ns1 পরীক্ষাটা দ্রুত করে ফেলুন। জ্বরের পাঁচ দিনের মধ্যেই এই টেস্ট করতে হয়, পাঁচদিন কেটে গেলে এই টেস্ট নেগেটিভ আসে। তখন ডেংগু কনফার্ম করার জন্য অন্য টেস্ট করতে হয়। তাই জ্বর এলে দেরি না করে NS1 করে ফেলুন। এবং অবশ্যই হেলাফেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিজের বাসার কোথাও পরিস্কার পানি জমে থাকছে কিনা খেয়াল রাখুন। প্রতিবেশীদেরকেও সতর্ক করুন। ছাদে কোথাও পানি জমে থাকছে কিনা খেয়াল করুন। কারো উপর নির্ভর করে কোন লাভ নেই। নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর প্রধান কারন রক্তে প্লাটিলেট কমে যাওয়া। তাই রক্তে প্লাটিলেট বাড়াবেন যেভাবেঃ
রক্তে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা রক্তজমাটে সাহায্য করে। ২০ হাজারের নিচে প্লাটিলেটের সংখ্যা নেমে আসলে কোনো প্রকার আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে পারে। কোনো কারণে রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেই প্লাটিলেটের সংখ্যা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিছু খাবার আছে যেগুলো প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আসুন জেনে নেই সেসব খাবারের নাম।
পেঁপে এবং পেঁপে পাতাঃ পেঁপে খুব দ্রুত রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম। মালয়েশিয়ার এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডেঙ্গু জ্বরের কারণে রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে পেঁপে পাতার রস তা দ্রুত বৃদ্ধি করে। রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে প্রতিদিন পেঁপে পাতার রস কিংবা পাকা পেঁপের জুস পান করুন।
মিষ্টি কুমড়া এবং কুমড়া বীজঃ মিষ্টি কুমড়া রক্তের প্লাটিলেট তৈরি করতে বেশ কার্যকরী। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়াতে আছে ভিটামিন ‘এ’ যা প্লাটিলেট তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই রক্তের প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া এবং এর বীজ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
লেবুর রসঃ লেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। ভিটামিন সি রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও ভিটামিন ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। ফলে প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকেও রক্ষা পায়।
আমলকীঃ আমলকীতেও আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। এছাড়াও আমলকীতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ফলে আমলকী খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা পায়।
অ্যালোভেরার রসঃ অ্যালোভেরা রক্তকে বিশুদ্ধ করে। রক্তের যেকোনো সংক্রমণ দূর করতেও অ্যালোভেরা উপকারী। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করলে রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ডালিমঃ ডালিম রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর আয়রন রয়েছে যা প্লাটিলেট বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন ১৫০ মিলিলিটার ডালিমের জুস দুই সপ্তাহ পান করুন। ডালিমের রসের ভিটামিন দুর্বলতা দূর করে কাজে শক্তি দেবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply