নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যে কোনও মুহূর্তে উল্টে যেতে পারে মহারাষ্ট্রের দাবার চাল। এ নিয়ে অতি রক্ষণাত্মক ভূমিকায় এগোচ্ছে শিবসেনা-এনসিপি(শারদ পাওয়ার অংশ)-কংগ্রেস জোট। বিজেপি শনিবার অজিত পাওয়ার সমর্থিত এনসিপি’র একাংশ নিয়ে তড়িঘড়ি করে সরকার গঠন করলেও ২৯ নভেম্বরের মধ্যে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। তার আগে ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি, এমনটাই ধারণা শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের। সাবধানী চালের অংশ হিসেবে এবার তাই নিজেদের দলের জয়ী সংসদ সদস্যদের মুম্বাইয়ের বিভিন্ন হোটেলে রীতিমতো লুকিয়ে রেখেছে এই তিনটি দল।
এনসিপি তাদের সদস্যদের রাতারাতি বাসে করে তুলে নিয়ে মুম্বাইয়ের পোয়াইয়ে রেনেসাঁ হোটেলে রেখে দিয়েছে। শিবসেনাও তাদের ৫৬ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৫৫ জনকেই মুম্বাইয়ের আন্ধেরির ললিত হোটেলে নজরবন্দি করে রেখেছে। শিবসেনা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, ওই সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোনও জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলগুলোর পক্ষ থেকে।
এদিকে সতর্ক সোনিয়া গান্ধির কংগ্রেসও। নিজেদের দলের ৪৪ জন জয়ী সদস্যকে তারা মুম্বইয়ের জেডব্লিউ ম্যারিয়টে রেখে দিয়েছে। এছাড়া নির্দলীয় সংসদ সদস্য রাজকুমার প্যাটেল জানিয়েছেন, ৮ জন নির্দলীয় সংসদ সদস্যকে গোয়ার একটি হোটেলে রাখা হয়েছে।
কংগ্রেস এবং শিবসেনাসূত্র জানিয়েছে, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়োজিত আস্থা ভোটে বিজেপিকে হারানোর জন্যে তাদের সব সংসদ সদস্যদের একসঙ্গে রাখা জরুরি।আ
এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার বলেছেন , বিজেপি আস্থা ভোটে হারবে। তিনি অভিযোগ করেন, তার ভাতিজা অজিত পাওয়ার শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের পক্ষে দলের সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে নেওয়া সমর্থনের চিঠির অপব্যবহার করেছেন। ওই চিঠিটিই অজিত রাজ্যপালকে দেখিয়ে দাবি করেছেন যে বিজেপির সরকার গঠনের পক্ষে এনসিপির সমর্থন রয়েছে। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল বলেছেন , ‘আমাদের সংসদ সদস্যরা অন্যদিকে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরীক্ষায় আমরা বিজেপিকে হারাতে প্রস্তুত। আমরা খুব তাড়াতাড়ি এ নিয়ে আমাদের নীতি নির্ধারণ করবো আমরা মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার গঠনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও আইনগত, দুই দিক থেকেই লড়াই করবো ।’
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply