চলছে ওয়াজ বয়ান নামক বিকট শব্দ দুষনের মাহফিল সভা সমাবেশের মৌসুম। এর পেছনে ব্যায় হচ্ছে লক্ষ থেকে কোটি কোটি টাকা। লক্ষ্য, ছোয়াব নামক অদৃশ্য অশ্বডিম্বের প্রাপ্তি! আর ধর্ম নামক হিংসা বিদ্বেষের প্রচার প্রসার! মাঝখানে চলছে এই কর্মযগ্যকে ঘিরে এক শ্রেনীর অতিউৎসাহী ধর্মান্ধ ধর্মভীরুদের ভিক্ষাবৃত্তি আর যুব্বা আলখাল্লা পরিহিত শুকর গন্ডার মহিষ হস্তি সদৃশ্য আজব চিড়িয়াদের উদর পূর্তি ও পকেট ভর্তির মহোৎসব!
ফলাফল, মুষ্টিমেয় কিছু ধর্মকে পুঁজি করা মনুষ্য কায়ার গরিলা বাঁদরের কলা কচু বাদাম রুজির মহা বানিজ্য। ঐসকল যুব্বাওয়ালা মনুষ্য কায়ার গরিলারা সাধারণ ধর্মান্ধ ধর্মভীরু নিরীহ মানুষদেরকে মানসিক ব্লাকমেইল করে বয়ানের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তাহারা বয়ানের মোহময়োতায় সাধারণ নিরীহ মানুষের ইন্দ্রীয় কোটরে ভীতির সঞ্চার ঘটিয়ে বুঝাতে চায় হেদায়েত বা শুদ্ধিকরণ নামক বিশাল পুন্যময় কর্মযগ্যের কম্ম সম্পাদন করছে। কিন্তু এই কর্মযগ্যে আসলে সাধারণ নিরীহ মানুষ কতটা শুদ্ধ হচ্ছে তাহা প্রশ্ন থেকেই যায়।
প্রতিবছর এই মৌসুমে যে পরিমাণ ওয়াজ নসিহত মূলক সভা সমাবেশ হয় তাহাতে যদি মানুষের মধ্যে সত্যি সত্যি হেদায়েত বা শুদ্ধিতা সৃষ্টি হতো তাহলে আজকের এই বাংলার কোথাও কোন শাখা সেক্টরে অন্যায় অবিচার অপরাধ দুর্নীতি পরিলক্ষিত হতো না। সাধারণ মানুষ যাদের মুখে বয়ান বক্তিতা নামক হেদায়েত বা শুদ্ধিতার বাণী শুনার জন্য ভাড়া করে এনে যে পরিমাণ অর্থের জলাঞ্জলি দিচ্ছে, সেই বক্তারা নিজেরাই কতটুকু হেদায়েত বা শুদ্ধি অর্জন করেছে তাহা কি আদৌ কেহ খবর নিয়েছেন।
সাধারণ মানুষ তাহাদের সমষ্টিগত একতা এবং শক্তির খবর কখনোই বুঝেননি। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ধর্মভীরুতার মানসিক আবেগের বসবর্তি হয়ে ঐ সকল ওয়াজ বয়ানের সভা সমাবেশের পেছনে যে পরিমাণ অর্থের দন্ডি করে থাকেন, সেই অর্থ দিয়ে প্রতিবছর হাজার থেকে লক্ষ অসহায় ছিন্নমূল অনাথ দরিদ্র লোকের সাবলম্বী করার কৌশল সৃষ্টি করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, যুগে যুগে কোনোদিন ঐসকল ধর্ম ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে কখনোই শান্তির সুবাতাস সৃষ্টি হয়নি। তাহাদের দ্বারা সমাজে সর্বকালেই সৃষ্টি হয়েছে গোমড়াহী এবং ধর্মের নামে হিংস্রতা ও গোঁয়ার্তুমি।
সুতরাং আসুন, ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিভেদ ভেদাভেদ ভুলে, মানবতা ও শান্তির জন্য নিজেদের সৃষ্টি করি। মানবতা ও শান্তিই হোক আমাদের মানুষের তথা সমগ্র বিশ্বের একটিই ধর্ম। ধর্মকে পুঁজি করে যেসকল গোঁয়ার গোমড়া মনুষ্য কায়ার আজব চিড়িয়া মানুষে মানুষে ভেদাভেদ বিভেদ সৃষ্টির বানিজ্যে মেতে রয়েছে তাদের পরিহার করে একটি সুন্দর শান্তিময় সমাজ দেশ তথা বিশ্ব সৃষ্টির অঙ্গীকার করি।
সবাই শান্তিতে থাকুন, ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
সুফি মোহাম্মদ আহসান হাবীব, ০২ জানুয়ারী ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ ১১:০০ অপরাহ্ন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply