November 21, 2024, 9:23 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা যশোর যাত্রীবাহী বাসের ভেতর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রুবেল। কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। গলি থেকে রাজপথ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে ডিএনডি খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান কোটা আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ আবদুল্লাহর মৃত্যুঃ চিরনিদ্রায় শায়িত।

পবিত্র শবে মিরাজ

শবে মিরাজ এই শব্দটি ফারসি ও আরবি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি শব্দ। ‘শব’ শব্দটি ফারসি শব্দ যার অর্থ রাত বা রজনী। আরবিতে একে ‘লাইলাতুন’ বলা হয়। ‘মিরাজ’ আরবি শব্দ যার অর্থ সিঁড়ি, ঊধ্বগমন, সোপান, আরোহণ, সাক্ষাত ইত্যাদি। সুতরাং শবে মিরাজ শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো রজনীতে ঊধ্বগমন বা রজনীতে সাক্ষাত। পবিত্র শবে মিরাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল হজরত মোহাম্মদ (সঃ) এর নবুয়ত প্রকাশের দশম কিংবা একাদশ বছরে ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে। আরবী মাস হিসাবে সে রজনী হলো রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত্রে (২৭ রজব)।

মিরাজ রজনীতে ঊধ্বগমন করে রাসুল হজরত মোহাম্মদ (সঃ) কোথায় গিয়েছিলেন এবং কি প্রেম আলাপ করলেন দয়াময় আল্লাহর সাথে তা কোরআন ও হাদিসে বিস্তারিত খুলে বলা হয়নি। শুধু বাহ্যিক কিছু নিদর্শনের বর্ণনা পাওয়া যায়।

সে কারণেই সবে মিরাজ আধ্যাতিক জগতের অনেক রহস্যের এবং ভেদের বিষয়। শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে সবাই কমবেশি সবে মেরাজ সম্পর্কে বুঝে। কিন্তু সবে মেরাজের ভেদতত্ব সবাই বুঝতে পারে না। এ কারণে সবে মেরাজ নিয়ে কোরআনের আলোকে রুহানী দৃষ্টিকোণে থেকে কিছু বর্ণনা দেওয়া হলো।

পবিত্র আল কোরআনে বলা হয়েছে, “পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে (আবদুহু) রজনীতে পরিভ্রমন করিয়েছেন মসজিদুল হারাম (নিকটবর্তী মসজিদ) থেকে মসজিদুল আকসা (দুরবর্তী মসজিদ) পর্যন্ত” যার পরিবেশ আমি বরকতময় করে ছিলাম , তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য। তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা বণী ইসরাঈল, আয়াত-১) এ আয়াত অনুসারে, অধিকাংশ তাফসীরক বলেছেন, মেরাজের এ অংশ হলো ইসরা। মসজিদুল হারাম (নিকটবর্তী মসজিদ) থেকে মসজিদুল আকসা (দুরবর্তী মসজিদ) পর্যন্ত ভ্রমনকে তারা ”ইসরা” বলে থাকে।

আল কোরআনে আরোও বলা হয়েছে, তখন ওহি করলেন আপন বানদার (আবদুহু) প্রতি যা ওহি করার ছিল। তিনি যা দেখেছেন, তার অন্ত:করণ (কালব) তা অস্বীকার করেনি। তিনি যা দেখেছেন , তোমরা কি তার সাথে সে বিষয়ে বিতর্ক করবে? (সূরা নাজম, আয়াত-১০,১১,১২) এ আয়াত অনুসারে, অধিকাংশ তাফসীরক বলে থাকে, মেরাজের এ অংশ হলো উর্ধ্বগমন। মসজিদুল আকসা (দুরবরতী মসজিদ) থেকে আল্লাহর জগত পর্যন্ত ভ্রমনকে তারা ”মিরাজ” বলে থাকে। সুতরাং জাহিরি তাফসীরকারকদের মতে মেরাজের দু’টি অংশ। একটি ইসরা অপরটি মিরাজ। যাই হোক এ আয়াতগুলো মেরাজের প্রথম অংশ।

তাফসীরকারকগণ যেটাকে ”ইসরা” বলেছেন আসলে তা পৃথিবীর সব জগত ভ্রমণ বুঝায়। এই পৃথিবীতে আল্লাহর ১৮ হাজার সৃষ্টি রয়েছে, তার সব কিছু জানা ও চিনা ই হলো ”ইসরা”। এই ভ্রমন আসলে প্রিয় রাসুল (সাঃ) করেছেন জাহিরিভাবে বা শারিরিকভাবে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। কিন্তু বাতিনি ভাবে তিনি তার পবিত্র দেহজগত ভ্রমণ করেছেন। সাত জমিনের সব কিছু জেনেছেন। কারণ “যাহা রহিয়াছে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে তাহা রহিয়াছে মানব ভান্ডে” সুতরাং এ ভ্রমণ হলো সেই ব্রহ্মান্ডের ভ্রমন।

উপরে উল্লেখিত সূরা নাজমের আয়াত অনুসারে মেরাজের ২য় অংশ, তাফসীরকারকগণ যেটাকে ”মিরাজ” বলেছেন আসলে তা নভোমন্ডল ভ্রমণ এবং আল্লাহর সাথে দিদার লাভ। শারিরিকভাবে প্রিয় নবী নভোমন্ডলের সাত আসমান পাড়ি দিয়ে লা মাকামে আল্লাহর দিদার লাভ করেছেন। সাত আসমানের সবকিছু দেখেছেন ও জেনেছেন, সব নবী-রাসুলের সাথে সাক্ষাত করেছেন, বেহেশত-দোযখ অবলোকন করেছেন।

কিন্তু আসলে বাতিনি ভাবে প্রিয় রাসুল দেহভুবনের সাত আসমান-জমিনের সব ভ্রমণ করেছেন।

পবিত্র এই এক মুহুর্তের মিরাজ শরীফে প্রিয় রাসুল (সাঃ) নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সব কিছুর জ্ঞান আরোহণ করেন। প্রিয় রাসুল (সাঃ) আল্লাহর সব জগত ঘুরে এবং মহান আল্লাহকে অতি সুন্দরতম আকৃতিতে (সুরতে) দর্শন করেছেন। ফজজের নামাযের আগ মুহুর্তে এই পবিত্র মিরাজ সংঘটিত হয়েছিল।

মসজিদে নববীতে ফজরের নামাযের সময় প্রিয় নবী যখন এ বিস্ময়কর মিরাজের বর্ননা দিচ্ছেলেন, তখন মক্কার বড় বড় কাফিররা কোনমতেই বিশ্বাস করলো না। কিন্তু প্রিয় নবীজীর সঙ্গী-সাথী বা সাহাবীরা অতি সহজে তা বিশ্বাস করলেন। এজন্য আল্লাহ পাক ধমকের সুরে সূরা নাজমে বলছেন, তিনি যা দেখেছেন , তোমরা কি তার সাথে সে বিষয়ে বিতর্ক করবে?

‘কোরআনের আলোকে আমরা বুঝতে পারলাম প্রিয় রাসুল (সাঃ) জাহিরি ও বাতিনিভাবে আল্লাহকে দেখেছেন।

আল্লাহ পাকের রুপ (আকার) বা সুরত কেমন? যে মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তার আহসান সুরত কি সবাই দেখতে পারে? মনে দৃঢ বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহ তায়ালার এই আহসান সূরত ধরা-ছোয়া বা স্পর্শের বাইরে। আল্লাহর আকার বলতে কুদরতী সুরত। আল্লাহর গঠন/আকৃতি/সুরত বলতে তার সিফাত (গুনই) বুঝাবে। তার সিফাত ই তার রুপ বা আকৃতি ধারণ করে নূরে মোহাম্মদী তৈরি হয়েছে। যার থেকে সব সৃস্টি বিভিন্ন রুপ (আকার-আকৃতি) পেয়েছে। যে মহামানবের আল্লাহর সুরত দর্শনের নসীব হয়েছে একমাত্র তিনিই আল্লাহ তায়ালার এই মানবীয় আহসান সুরত দেখতে পারে অন্য কারো পক্ষে কখনই তাহা সম্ভব নয়। জাহিরিভাবে প্রিয় রাসুল (সাঃ) এর সাথে মিরাজ হয়েছিল একবার এবং বাতিনিতে হয়েছে সবসময়।

আল্লাহর বাতেনি সুরতের সাথে অন্যান্য নবী-রাসুল, আহলে বাইত, ইমাম ও আউলিয়া-কেরাম সকলেই আহসান সুরত দেখেন রুহানী ভাবে। সাধারণ মানুষের এই আল্লাহ দরশন কখনই সম্ভব নয়। তাই তারা মহান আল্লাহ পাকের দেখাকে অস্বীকার করে থাকেন।

আল্লাহ কেন মানবীয় আহসান সূরতে দর্শন দিয়ে থাকে? কারণ আল্লাহ তায়ালা অসীম এবং পরমাত্মা। মানূষ সসীম এবং অণুআত্মা । সসীম কখনই অসীম কে পূর্ণভাবে ধারণ করতে পারে না তাই অসীম (আল্লাহ) মানবীয় সুরতেই সসীম (মানূষকে) দর্শন দিয়ে থাকেন।

উদাহরণস্বরুপঃ সূর্যের দিকে তাকিয়ে আমরা কয়েক সেকেন্ডের বেশী স্থায়ী ভাবে দেখতে পারি না। শত চেষ্টা করলেও তা পারা যায় না। জোর করে বেশী সময় ধরে সূর্যের দিকে তাকালে চোখ নষ্ঠ হয়ে যাবে। কিন্তু চন্দ্রের দিকে আমরা তাকিয়ে চন্দ্রের সৌন্দর্য অনেকক্ষণ অবলোকন করতে পারি। এতে আমাদের চোখের কোন সমস্যা হয় না। চন্দ্র তার জ্যোতি পায় সূর্য হতে। তদ্রুপ আল্লাহ তায়ালার জ্যোতি (নূরে তাজাল্লী) নূরে মোহাম্মদী হয়ে সহনীয় পর্যায়ে মানূষের ভিতরে রুহ ও তার সিফাত হিসাবে দেওয়া হয়েছে। যা সাধকের কাছে মানবীয় আহসান সূরতে দর্শন হয়। মানব তার নিজকে যখন চিনে নিজের মধ্যে ধ্যানের জগতে প্রবেশ করে, তখন আল্লাহর দর্শন পাওয়া যায় ।

সূরা বণি ইসরাঈল ও নাজমের আয়াতে উললেখিত ”আবদুহ” শব্দ নিয়ে কিছু বিস্তারিত। আবদ ও আবদুহু এর মর্যাদা কিন্তু এক নয়। আবদ হলো আল্লাহ তায়ালার ঐ বান্দা যে আল্লাহ তায়ালাকে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। আর আবদুহু হলো ঐ বান্দা যাকে পাওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা নিজেই ব্যাকুল থাকে। আবদ নিজে আশেক হয়ে তার মাশুকের প্রেমে রত হয়। আর আবদুহুর প্রেমে আললাহ নিজেই আশেক হন। কেননা আবদুহু ই সুষ্টির সকল রহস্য ভেদ । আবদুহু হতেই সকল সুষ্টি।

মহাকবি হযরত আল্লামা ইকবাল(রহঃ) বলেন, ”জামানা হচ্ছে ‘আবদুহু’ আর ‘আবদুহু’ হতেই জমানার অস্তিত্ব। আমরা সমস্ত সৃষ্টি বিভিন্ন রং এবং বর্ণের কিন্তু ‘আবদুহু’ সব কিছুর উদ্ধে । সৃস্টির সব কিছুই ‘আবদুহু’। আর ‘আবদুহু’ গোটা জাহানের গুপ্তভেদ । কেউ ই ‘আবদুহু’র গোপন ভেদ সম্পর্কে অবগত নয়। কারণ ‘আবদুহু’ তো ইল্লাল্লাহ’র ভেদ ভিন্ন আর কিছুই নহে। ‘আবদুহু’ সমস্ত তাকদীরের ছবি অঙ্কনকারী। আর এই সারমর্ম তুমি অনুধাবন করতে পারবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি মাকামে ”মা রামাইতা” অবলোকন কর। (শানে হাবীবুর রহমান,পৃষ্টা-১৪৩) কত সুন্দর করে বলেছেন আল্লামা ইকবাল (রহঃ)।

সমগ্র সুষ্টিই আহমদ মোস্তফা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে আগত। তাকে নিয়েই কেন্দ্রমুখী। তাই সমগ্র সুষ্টির সকল প্রেমের মূল রাসুল হজরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। ইহাই মিরাজের আসল রহস্য।

হযরত মুসা কালিমুল্লাহ (আঃ) আল্লাহকে দেখার জন্য ব্যাকুল ছিলেন । সুতরাং হযরত মুসা কালিমুল্লাহ (আঃ) হলেন ”আবদ’। অপরদিকে আহমদ মোস্তফা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হলেন ”আবদুহু” যাকে মহান আল্লাহ তার সমস্ত জগত দেখানোর জন্য এবং নিজে তার কাছে প্রকাশ হওয়ার জন্য ব্যাকুল ছিলেন এবং মেরাজে তাই দাওয়াত করে নিলেন। হযরত মুসা কালিমুল্লাহ (আঃ) তুর উপত্যকায় আল্লাহ তাজাল্লী দর্শনে বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাকে বলেছিল লান-তারানি অর্থাত তুমি আমাকে দেখতে পারবে না। ফলে হযরত মুসা কালিমুল্লাহ (আঃ) পূর্ণভাবে আল্লাহর তাজাল্লী দর্শন করতে পারলেন না। আল্লাহ তায়ালার তাজাল্লীর একটু দর্শনেই বেহুশ হয়ে পড়েগেল। অপরদিকে আহমদ মোস্তফা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহর ওয়া সাল্লাম কে আল্লাহ তায়ালা নিজেই দরশন দেওয়ার জন্য উদগ্রিব। আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসার মতো পিয়ারা নবীজীকে দৃষ্টি ভ্রম করেন নি বরং তাকে মহা সম্মানের সহিত আদর করে মায়া করে দয়া করে কাছে নিয়ে পরিপুর্ণ দরশন দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি অন্য সব নবী রাসুল থেকে আলাদা এবং অনেক অনেক উচ্চে। সৃষ্টির সকল নবী, পয়গম্বর থেকে শুরু করে সকল মানূষ আল্লাহ তায়ালাকে ভালবাসতে চায় রাজি খুশি করতে চায় কিন্তু মহান আল্লাহ তার মাহবুব রাসুলাল্লাহ কে রাজি খুশি করতে চায়। এর কারণ কি তা ফেরেশতারাও বুঝতে পারেনি। সুষ্টির শ্রেষ্ট মানুষ হয়ে ও বুঝতে চেষ্টা করছি না।

হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ পাক বলেন, ”আমি মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম কে আমার মূখমন্ডলের নূরের অবয়বে (গঠনে) সৃষ্টি করেছি। (সিররুল আসরার: বড়পীর গাউসুল আযম দস্তগীর, পৃষ্টা-৬০)

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com